সড়কের উপরে ধান, দুর্ভোগে চালক-যাত্রীরা

  • মাজেদুল হক মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সড়কের উপরে ধান রেখেছে চাষি। ছবি: বার্তা২৪.কম

সড়কের উপরে ধান রেখেছে চাষি। ছবি: বার্তা২৪.কম

এখন বোরো ধান কাটার ভরা মৌসুম। মেহেরপুর জেলায় প্রতি বছরের মতো এবারো বোরো ধানের নাবি (বিলম্বে উৎপাদন) আবাদ। ধান কাটা মাড়াই তাই শেষ হয়নি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ধান মাড়াইয়ের জন্য পিচ ঢালা সড়কই একমাত্র ভরসা। এতে সড়কের উপরে ধান মাড়াই ও খড় ফেলে রাখায় দুর্ভোগ বেড়েছে যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের।

জানা গেছে, সদর ও মুজিবনগর উপজেলার কোলা-কেগারগঞ্জ বাইপাস সড়কটি প্রায় ২৫ কিলোমিটার। এই সড়কটির প্রায় পুরোটাই ধান মাড়াইয়ের দখলে। এছাড়াও গাংনী উপজেলার গোপালনগর-চেংগাড়া, চেংগাড়া-বানিয়াপুকুর, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়ক, মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়ক, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কসহ প্রায় সব সড়কে এখন ধান মাড়াই করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/16/1557995734673.jpg

আশরাফপুর গ্রামের ধান চাষি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ফণীর প্রভাবে দু’দিন বৃষ্টির পর আকাশ পরিষ্কার হয়। এরপর প্রচণ্ড গরমের মধ্যে আমরা বেরো ধান কাটা শুরু করি। কিন্তু ক্ষেতে পানি জমায় ধান সরাসরি পিচ ঢালা সড়কে তোলা হচ্ছে। এছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’

বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী যানবাহন চালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সড়কের উপরে কাটা ধান ও খড় রাখার কারণে যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। কোনো কোনো স্থানে আটকে যাচ্ছে যানবাহন। ছোট ছোট দুর্ঘটনাও ঘটছে। চাষিদের উপায় নেই, তাই সড়ক ব্যবহার করছে। তবে যানবাহন চলাচলের বিষয়টিও মাথায় থাকা দরকার।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/16/1557995759648.jpg

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আখতারুজ্জামান জানান, বর্ষার আগেই যাতে বোরো ধান কেটে ঘরে তোলা যায়, সে বিষয়ে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আগামী মৌসুমে এ বিষয়ে আরও কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।