ফণীর প্রভাব পড়তে পারে মেহেরপুরেও

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, মেহেরপুর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব পড়তে পারে মেহেরপুর জেলায়ও। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এ জেলায় ফণীর আগ্রাসনে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর হাত থেকে জানমাল রক্ষায় সতর্কতা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।

অপরদিকে বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে প্রস্তুতি সভা করে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে বিভিন্ন কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। সতর্ক থাকতে ইতোমধ্যে জেলায় মাইকিং করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ঘূর্ণিঝড়ের আগে ও পরে করণীয় নিয়ে সরকার গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে জেলা প্রশাসক (ডিসি) আতাউল গনি বলেন, কাঁচা ও আধাপাকা বাড়ির বাসিন্দাদের পার্শ্ববর্তী পাকা ছাদের ঘরে স্থানান্তর করতে হবে। গবাদিপশুগুলো যাতে ক্ষতির শিকার না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের দিকে।

ত্রাণ সহায়তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা সরকারের রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস, কৃষি অফিস, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের এগিয়ে আসতে হবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে না যাওয়া পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের জেলার বাইরে না যাওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি।

সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে তথ্য আদান প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

সভায় মতামত তুলে ধরে বক্তব্য দেন- জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. ইব্রাহিম শাহীন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. আখতারুজ্জামান ও মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা আক্তারসহ অনেকেই।