ফরিদপুরে বালু ব্যবসা নিয়ে বেপরোয়া স্কুল শিক্ষক

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অভিযুক্ত শিক্ষক, ছবি: সংগৃহীত

অভিযুক্ত শিক্ষক, ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের উজান মল্লিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান। পেশায় স্কুল শিক্ষক হলেও এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া কুমার নদের প্রাণ ফেরাতে চলমান সরকারিভাবে ড্রেজিং এর মাধ্যমে উত্তোলিত বালু ও মাটি নিয়ে বেশি ব্যস্ত তিনি।

এলাকার প্রভাবশালী নুরুল ইসলামসহ আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে অনৈতিকভাবে বালু ব্যবসার সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। তার এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বুধবার (১ মে) দুপুরে গ্রামের ধীরেণ মালোর ছেলে সুকাশ মালো মারপিটের শিকার হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

একজন স্কুল শিক্ষকের এমন ভূমিকা নিয়ে এলাকায় চলছে নানা সমালোচনা। এমন কর্মকাণ্ড তার জন্য নতুন নয়, তার এমন বেপরোয়া চলাফেরা ও উগ্র আচরণে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ ক্ষিপ্ত বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এলাকার ধীরেণ মালো বলেন, ‘এলাকায় মাষ্টার মিজান সিন্ডিকেট করে বালু ব্যবসা করছেন। আমার বাড়ির সামনেও ড্রেজার বসানো হয়েছে। সেখান থেকে আমার প্রতিবেশী লোকজন মাটি নিচ্ছে। মিজান ভেবেছেন আমিও এই ব্যবসার সাথে জড়িত তাই আমাকে খুব গালিগালাজ করেছে। তখন আমার ছেলে বলে মাটি ব্যবসা তো আপনি করছেন, আমরা নই। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলের উপর হামলা চালায় সে। ওরা প্রভাবশালী তাই তুচ্ছ ঘটনায় আমাদের মারপিট করতে পারে।’

ভুক্তভোগী সুকাশ বলেন, ‘বালু ব্যবসা করছে মিজান। অথচ দোষ দেয় আমাদের। প্রতিবাদ করায় আমাকে গ্রামের লোকজনের সামনে মেরেছে।’

অভিযুক্ত মিজানুর রহমান বলেন, তেমন মারামারি হয়নি। ছোট-খাট বিষয়। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাথাগরম হয়ে গিয়েছিল নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনি। বালু ব্যবসার সিন্ডিকেটের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

এই ঘটনার পর কাজের সাব-ঠিকাদার মোফাজ্জেল হোসেন ও নৌ-বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।