নেত্রকোনায় মরে যাচ্ছে চালকুমড়া গাছ, ক্ষতির মুখে চাষিরা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নেত্রকোনা, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

এবার কপাল পুড়েছে নেত্রকোনার দুর্গাপুরের চালকুমড়া চাষিদের। অতিরিক্ত সার প্রয়োগের কারণে গাছ মরে গেছে। এতে ফলন হয়নি বললেই চলে।

এতে মারাত্মকভাবে লোকসানের শিকার হচ্ছেন নেত্রকোনা কয়েকশ’ কৃষক। জেলার সীমান্তবর্তী এই উপজেলার চকলেগুড়া, খুশিউড়া, চণ্ডিগড়, কাকৈরগড়াসহ বেশ কিছু এলাকার কৃষকরা এভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

বেশ কয়েক বছর ধরে শুকনো মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষকরা চালকুমড়া চাষ করে লাভবান হচ্ছিলেন। এবারও লাভের আশায় চালকুমড়া চাষ করেছিলেন তারা। কিন্তু গাছ মরে শুকিয়ে যাওয়ায় এ বছর লাভের বদলে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়লেন তারা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/01/1556709845167.jpg

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার প্রায় তিন হাজার কৃষক এ বছর প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে চালকুমড়ার আবাদ করেন। যা থেকে দুই হাজার ৪০০ মেট্রিক টন চাল কুমড়া পাওয়া যায়। কিন্তু এ বছর গাছ মরে যাওয়ায় ফলনে ধস নেমেছে।

স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানান, অগ্রহায়ণ মাসের শুরুর দিকে জমিতে চালকুমড়ার বীজ রোপন করা হয়। সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি সময় প্রর্যন্ত ফলন দেয়। কিন্তু এ বছর চৈত্র মাসের শুরুর দিকেই গাছে ফল আসার সাথে সাথে একে একে মরতে শুরু করে চারাগাছ। যা বৈশাখ মাসে এসে ব্যাপক ক্ষতির রূপ ধারণ করে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/01/1556709869602.jpg

অনেকেই জমি লিজ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে চাষাবাদ করে আসছিলেন। কিন্তু ক্ষতির শিকার হয়ে তারা এখন দিশেহারা। উপজেলা কৃষি কর্মকতাসহ বাজারের সার বিক্রেতাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েও কোনো ফল পাচ্ছেন না তারা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/01/1556709822649.jpg

কৃষকদের অভিযোগ, কোনো কৃষি কর্মকর্তা মাঠে আসেননি। যদি মাঠে আসতেন তাহলে হয়তো এমন ক্ষতি হতো না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএলএম রেজুয়ান জানান, এ উপজেলায় দিন দিনই চালকুমড়ার আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন। কিন্তু এ বছর কিছু কৃষক জমিতে মাত্রাতিরিক্ত সার প্রয়োগ করায় ফসলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

একই জমিতে পরপর তিন বারের বেশি চালকুমড়ার আবাদ না করার পরামর্শ দেন এই কৃষি কর্মকর্তা।