শেষ বয়সে ভাতা চান আয়েশা খাতুন

  • এসএম জামাল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আয়েশা খাতুন জাতীয় পরিচয় পত্র দেখাচ্ছেন/ছবি: বার্তা২৪.কম

আয়েশা খাতুন জাতীয় পরিচয় পত্র দেখাচ্ছেন/ছবি: বার্তা২৪.কম

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের দক্ষিণ কাটদহ গ্রামের আয়েশা খাতুনের বয়স ৭৫ বছর পেরিয়েছে। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেই চলছিল তার জীবন-জীবিকা।

কিন্তু বয়সের কারণে এখন আর কাজ করতে পারেন না। বর্তমানে নাতি (একমাত্র মেয়ের ছেলে) অনেক কষ্টে তার খাওয়া-পড়ার ব্যবস্থা করছেন। আর তাই এই শেষ বয়সে বয়স্ক ভাতার কার্ড চান তিনি।

বিজ্ঞাপন

আয়েশা খাতুন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বারদের কাছে অনেকবার ধরনা দিয়েও বয়স্ক বা বিধবা ভাতার কার্ড পাইনি। আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতার কার্ড পাবো? খেয়ে পরে বেঁচে থাকতেই এখন একটি ভাতার কার্ড চাই।

আয়েশার মেয়ে আলেয়ার স্বামী মারা গেছেন নয় বছর আগে। আলেয়া তার ছেলে আলমকে (১৯) নিয়ে থাকেন মায়ের বাড়িতেই। আলম পোড়াদহ কাপড়ের বাজারের একটি দোকানে বিক্রয় কর্মী হিসেবে কাজ করে বেতন পান ছয় হাজার টাকা। নানি আর মাকে নিয়ে এই টাকায় চলতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।

এ ব্যাপারে মিরপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুদ রানা বার্তা২৪.কমকে বলেন, মূলত স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রতি অর্থবছরে যাচাই বাছাই করে বয়স্ক এবং বিধবা ভাতার তালিকা পাঠান। পরে আমরা তাদের কার্ডের ব্যবস্থা করি। চেয়ারম্যান যাচাই-বাছাই করে আয়েশা খাতুনের নাম তালিকাভুক্ত করলে আমরা অবশ্যই সেটা পাস করবো।