নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় লাল মিয়া ফকির (মোটা মামা বলে পরিচিত) নামের সেই ‘আধ্যাত্মিক’ ফকিরের মরদেহ অবশেষে তাঁর ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নেত্রকোনা জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের জন্য মরদেহ রোববার (১৪ এপ্রিল) তাঁর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে কেন্দুয়া থানাপুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দিবাগত রাতে লাল মিয়া ফকির উপজেলার সান্দিকোনা গ্রামের ইনছান মিয়া নামে এক ভক্তের বাড়িতে মারা যান। এরপর মরদেহ দাফনের জন্য ওই ভক্তের বাড়িতে কবরও খোঁড়া হয়।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকাল চারটার দিকে স্থানীয় সান্দিকোনা স্কুল অ্যান্ড কলেজের খেলার মাঠে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মৃতের স্বজন এবং ভক্তদের মধ্যে মরদেহের দাফন নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে কেন্দুয়া থানা পুলিশ ওইদিন রাতেই মরদেহটি থানায় নিয়ে আসে।
পরে রোববার দুপুরের দিকে পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরে মৃতের স্বজনেরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি দাফনের জন্য নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। এরইপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের জন্য লাশটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দেয়।
পরে মৃতের ছোট ভাই মোসলেম উদ্দিনসহ পরিবারের লোকজন লাশটি হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহ বুঝে নেয়। কেন্দুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।