মহাসড়কে স-মিলের কাঠের দাপট

  • মাজেদুল হক মানিক, মেহেরপুর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মহাসড়কে স-মিলের কাঠের দাপট। ছবি: বার্তা২৪.কম

মহাসড়কে স-মিলের কাঠের দাপট। ছবি: বার্তা২৪.কম

মেহেরপুর-ঝিনাইদহ আঞ্চলিক মহাসড়কের বারাদী বাজারের পাশে রয়েছে কাঠের স্তূপ। দুটি স-মিলে ব্যবহৃত কাঠ সড়কের পাশ জুড়ে রাখা হলেও দেখার যেন কেউ নেই। ফলে পথচারীরা চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে। বেড়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।

জানা গেছে, মেহেরপুরের মুজিবনগর-ঝিনাইদহ আঞ্চলিক মহাসড়কের ওই বারাদী বাজার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এখানে রয়েছে বিএডিসির খামার ও বীজ সংরক্ষণাগার। প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন হাজারো ছাত্রছাত্রী যাতায়াত করে।

বিজ্ঞাপন

বারাদী বাজারের প্রবেশমুখে স্থানীয় নাছির উদ্দীন ও ইরফান আলীর স-মিল রয়েছে। এখানে দিনের বেলায় কাঠ তৈরির কাজ চলে। মিলে কাঠ এনে বেশিরভাগ সময় মহাসড়কের উপরেই রাখা হয়। এতে সড়কের দু’পাশের বেশ কিছু অংশ কাঠের দখলে থাকে। এ কারণে পথচারী ও যানবাহন চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে। বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের চলাচলে বিড়ম্বনার সীমা নেই।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554708653762.gif

স্থানীয় পিরোজপুর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মুরশিদ কুলি মেঘা বলেন, ‘মিল মালিকদের বললেও কথা শোনে না। আবারো বলব, না শুনলে কী আর করতে পারি?’

মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাব্বারুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের মেয়েরা আসা-যাওয়ার সময় চরম বিড়ম্বনায় পড়ে। ফুটপাত পুরোটা কাঠের দখলে। হাইওয়ে রোড, তাই সব সময় যানবাহনের চাপ থাকে। এতে দুর্ঘটনা ঝুঁকি বেড়েছে।

এদিকে মুজিবনগর-ঝিনাইদহ আঞ্চলিক মহাসড়ক একটি ব্যস্ততম সড়ক। মেহেরপুর থেকে ঢাকা, খুলনা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত যানবাহন চলাচল করে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ১০ মিনিট পরপর মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গার লোকাল বাস চলে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554708673143.gif

অপরদিকে ঐতিহাসিক মুজিবনগর কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রকার যানবাহনে দর্শনার্থীরা যায়। এছাড়াও স্থানীয় নানা প্রকার যানবাহন চলাচলের মধ্য দিয়ে রাস্তাটি সব সময় ব্যস্ত থাকে।

বিষয়টি নজরে আনলে মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুদুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমি খোঁজ নিচ্ছি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’