গাইবান্ধায় অবাধে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে অবকাঠামো

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, গাইবান্ধা, বার্তা২৪.কম  
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অবাধে বালু উত্তোলন চলছে, ছবি: বার্তা২৪

অবাধে বালু উত্তোলন চলছে, ছবি: বার্তা২৪

 
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্নস্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের উৎসব চলছে। ফলে হুমকির মুখে এলাকার বাধ, ব্রিজ ও রাস্তা-ঘাটসহ নানা ধরনের অবকাঠামো।  
 
জানা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউপির করতোয়া পাড়ার ফিরোজ ও সাজ্জাদ করতোয়া নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বাজারজাত করছেন। এসব বালু সরবরাহের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ ট্রাক্টর। ফলে বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ধস দেখা দিয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে বাঁধের ১০ মিটার জায়গা মেরামত করা না হলে বাঁধ ভেঙে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়বে।
 
শুধু করতোয়া পাড়া নয় বালু উত্তোলন করা হচ্ছে কিশোরগাড়ী ইউপির গনেশপুর বাঁধ সংলগ্ন মচ্চ নদীতে। এখানে ২টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে কামাল গংরা। মাটির তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে গনেশপুর, বাঁধ রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে।
 
এছাড়াও অপরদিকে প্রজাপাড়া নদীর ওপর বালু উত্তোলন করার ফলে ব্যাপকহারে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। বালু খেকোদের দাবি তারা সবাই কে ম্যানেজ করেই বালু উত্তোলন করছেন। সবখানে তাদের কম বেশি টাকা দিতে হচ্ছে। শুধু তাই নয় কিশোরগাড়ী ফরিদপুর ঘাট ও হাজির ঘাট এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখা হয়েছে।
 
স্থানীয় খালেদ মিয়া ও জমির উদ্দিন বলেন, 'অবিলম্বে এসব অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে বাঁধ ভেঙে পলাশবাড়ী উপজেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়বেন।'
 
পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইএনও) মেজবাউল হোসেন বালু উত্তোলনের কথা স্বীকার করে জানান, বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।