বনানী অগ্নিকাণ্ড

পরিবারের কাছে শেষ ফোন ছিল আবীরের

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, লালমনিরহাট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অগ্নিকাণ্ডে নিহত আনজির সিদ্দিক আবীর / ছবি: সংগৃহীত

অগ্নিকাণ্ডে নিহত আনজির সিদ্দিক আবীর / ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় লালমনিরহাটের পাটগ্রামের আনজির সিদ্দিক আবীরের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছোট চাচা মোস্তাফিজার রহমান। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আবীরের মরদেহ কুর্মিটোলা হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

আবীর লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌর শহরের আবু বকর সিদ্দিক বাচ্ছুর ছেলে। তিনি ওই ভবনের ১৫ তলার মিকা সিকিউরিটিস লিমিটেড কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।

এর আগে তার স্বজনরা ঢামেক ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালসহ বেশ কয়েক জায়গায় আবীরের খোঁজ করেও কোথাও তাকে খুঁজে পাননি।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আনজির সিদ্দিক আবীর সকালে তার বাড়িতে ফোনে কথা বলা শেষে অফিসের বাথরুমে যান। কিছুক্ষণ পর বাথরুম থেকে বের হয়ে দেখে ভবনে অগ্নিকাণ্ড। পরে আবারও বাথরুমের ভেতরে ঢুকে তার পরিবারকে বিষয়টি জানান। কিছু সময় পর আবীরের ফোনটি বন্ধ হয়ে গেলে পরিবার আর যোগাযোগ করতে না পেরে ঢাকায় চলে আসে। শহরে বিভিন্ন হাসপাতালে তাকে খুঁজে না পেয়ে রাত ৮টার দিকে জানতে পারে আবীরের খবর। আবীরকে দেখতে পরিবার ছুটে যায়। কিন্তু তাকে পায় মৃত অবস্থায়।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫২ মিনিটে বনানীর ১৭ নম্বর রোডে অবস্থিত এফআর টাওয়ারে আগুনের ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ৭০ জন। আহতরা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস ও ঘটনাস্থল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, ভবনটির নববম তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার পর তা অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পড়ে। বিমেষ করে অষ্টম থেকে দশম তলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রবল ধোঁয়ার কুণ্ডলী উপেক্ষা করে বাঁচার আকুতি নিয়ে ভবনটির জানালা থেকে হাত নাড়ান আটকে পড়া ব্যক্তিরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ক্রেনের সাহায্যে তাদের উদ্ধার করেন।