ক্রমশই কমছে উপকূলীয় বনাঞ্চলের আয়তন

  • ইমরান হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বরগুনা, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

একদিকে পাকৃতিক দুর্যোগ আর অন্যদিকে বনদস্যুদের অবাধে গাছ কাটার মহোৎসব। এ কারণেই বিলীন হয়ে যাচ্ছে সুন্দরবনের আদলে সৃষ্ট বরগুনা উপকূলের সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলো। ফলে ক্রমশই কমছে গাছ আর আয়তনে ছোট হচ্ছে বনাঞ্চল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব বন রক্ষা করতে না পারলে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়বে দক্ষিণাঞ্চল।

বন বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, ১৯৬০ সালে ১৩ হাজার ৬৪৭ দশমিক ৩ একর আয়তন নিয়ে টেংরাগীরি বনকে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করে পাকিস্তান সরকার। তবে ৫৮ বছরের ব্যবধানে বনের আয়তন না বেড়ে সাগর গর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় দুই হাজার একরেরও বেশি এলাকা। সাগর গর্ভে চলে গেছে প্রায় দুই লক্ষাধিক গাছ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/21/1553123860404.jpg

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের বরগুনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুশফিক আরিফ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘একদিকে সাগরের তীব্র ভাঙন আর অন্যদিকে বনদস্যুদের অবাদে গাছ কাটার কারণেই উপকূলীয় এলাকার বন গুলোর অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে। আর এ দায় বন বিভাগের এড়ানোর সুযুগ নেই।’

উপকূলীয় এলাকার সংরক্ষিত বন রক্ষা কমিটির সভাপতি হাছান ঝন্টু বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বনদস্যুদের কাছে বনের গাছ বিক্রি করে দিচ্ছেন স্বল্প মূল্যে। যার একাধিক প্রমাণ রয়েছে সাধারণ জনগণের কাছেও। এমনকি সংরক্ষিত বনের গাছ বিক্রি করার সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন কয়েকজন বন রক্ষীও। এমন ঘটনাও নতুন নয়। তবে বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণেই বন কাটা হচ্ছে অবাদে।’

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/21/1553124318235.jpg

এ বিষয়ে বরগুনা সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ শাহ আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সমুদ্রতলের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় সমুদ্রের পানির সাথে পলিমাটি যুক্ত জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে বনের মধ্যে। তাই ম্যানগ্রোব প্রজাতির গাছের শ্বাসমূল দীর্ঘ সময় ঢেকে থাকার কারণে অনেক গাছ মারা যাওয়ায় ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে গেছে।’

এই বিশেষজ্ঞ মনে করেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে চরম মূল্য দিতে হবে। যা পরিবেশের জন্য খুবই খারাপ হবে।

তবে এ ব্যাপারে বন বিভাগ বরগুনা সদর রেঞ্জের কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ভাঙন কবলিত এলাকায় নতুন করে বনায়ন করে শেল্টার বেল্ট তৈরি করে ভাঙন রোধ করা হবে। এছাড়া নতুন করে কিছু চরাঞ্চলে বনায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’