ব্লাস্ট তাড়াবে জিংকসম্মৃদ্ধ বারিগম ৩৩

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, মেহেরপুর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

কয়েক বছর ধরে মেহেরপুরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আটটি জেলায় ভয়াবহ ব্লাস্ট আক্রমণে গম আবাদ হুমকির মধ্যে পড়ে। কৃষকদের সেই আতঙ্ক থেকে উত্তরণ ঘটাচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বারিগম ৩৩ জাত।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকালে মেহেরপুর সদর উপজেলার দিঘিরপাড়া মাঠে আয়োজিত মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. নরেশ চন্দ্র দেব বর্মা জানান, এ জাতের আবাদ সম্প্রসারণ হলে ব্লাস্ট থাকবে না।

বিজ্ঞাপন

এই মাঠ দিবসের আয়োজন করে মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আখতারুজ্জামান।

ডিজি ড. নরেশ চন্দ্র দেব বর্মা বলেন, এ অঞ্চলে ব্লাস্ট আক্রমণের পর গমের আবাদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আমরা গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করি। বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইন্সিটিউট, বারি, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিমিট ও ইউএসআইডিসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা মিলে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। তার ফলাফল হিসেবে ২০১৭ সালের শেষের দিকে বারিগম ৩৩ জাতটি উদ্ভাবিত হয়েছে। বীজ উৎপাদন করে আমরা কৃষকের কাছ প্রদর্শনীর জন্য দিচ্ছি। গত বছর কৃষক পর্যায়ে আমরা পরীক্ষায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া এই জাতটি উচ্চ ফলনশীল ও জিংকসম্মৃদ্ধ। কাজেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বীজ দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, এতে কৃষকরা আবারো গম আবাদে নিশ্চিন্ত হবেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/14/1552581306145.jpg

তিনি আরো বলেন, এটি সারাদেশে ব্যাপকভাবে আবাদ হচ্ছে। এ জাতটি তাপ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি জাত। ডিসেম্বরের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে বপণ করলেও এর ফলন ঠিক থাকে। অর্থাৎ ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত গম বপণের নির্দিষ্ট সময়ের পরেও বারিগম ৩০ জাতটি আবাদ করতে পারছেন কৃষকরা। এ জাতটিও উচ্চ ফলনশীল।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক উদ্দীন আহম্মেদ, গাজীপুর আঞ্চলিক গম গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম ফারুক ও মেহেরপুর জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা স্বপন কুমার খাঁ প্রমুখ।