গাইবান্ধার বিভিন্ন স্পটে এক সময় বসতো ফর্দি বিছিয়ে ছয়গুটির জুয়া খেলার আসর। এ খেলায় কোটি কোটি টাকায় মেতে উঠেছিল পেশাদার জুয়াড়িরা। এক পর্যায়ে জুয়ার টাকা যোগান দিতে অনেকে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়ছিল। এমনকি অনেকে নিঃস্ব হয়ে পথেও বসেছে।
এমন পরিস্থিতিতে জুয়া খেলা দমন করতে মাঠে নামে জেলা পুলিশ প্রশাসন। পুলিশের কঠোর নজরদারির ফলে ছয়গুটি ফর্দির জুয়া খেলা এক সময় বন্ধ হয়।
তবে জেলার বিভিন্ন স্পটে এবার শুরু হয়েছে রমরমা তাসের জুয়া। দীর্ঘদিন ধরেই তাসের এই জুয়া খেলায় অনেকে সহায় সম্বল হারিয়ে পথে বসতে শুরু করেছে। এই জুয়া বন্ধে জেলা পুলিশ প্রশাসন আবারও সজাগ হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে থানা পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করলেও সক্রিয়ভাবে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে জেলা ডিবি পুলিশ।
এ খেলার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত শতাধিক জুয়াড়িকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (৯ মার্চ) দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে জুয়ার বিভিন্ন আসর থেকে ১৬ জুয়াড়িকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো- সাঘাটা উপজেলার মথর পাড়া গ্রামের রুহুল আমিন, সুমন মিয়া, হায়দার আলী, ওয়াহাব সরকার, আজিবর রহমান, আশরাফুল আলম, মিনারুল মন্ডল, শাহাজাহান আলী, উল্লা সোনাতলা গ্রামের মোকছেদুল রহমান। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুক কানুপুর এলাকার কালাম মিয়া, আমিরুল সরকার, আনিছুর রহমান, মজনু শেখ, মোস্তফা শেখ, আবু জাফর, নুরুল আলম খান, কোরমান শেখ, আনিছ মিয়া, হেলাল উদ্দিন। এদেরকে জুয়ার আসর থেকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
গাইবান্ধা ডিবির ওসি মুজিবুর রহমান বলেন, গাইবান্ধায় জুয়া খেলা বন্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। অল্প দিনের মধ্যই এখানে জুয়া রোধ করা সম্ভব।