মৌসুমের আগেই বাজারে তরমুজ
মৌসুমের আগেই বাগেরহাট বাজারে উঠেছে গরমের তৃপ্তিদায়ক রসালো ফল তরমুজ। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দামের আশায় এক মাস আগে থেকেই কৃষকরা তরমুজের চাষ করায় গ্রীষ্মের গরমের আগেই বাজারে এসেছে বাংলালিংক ও কালো তরমুজ। ভরা মৌসুমের তুলনায় বাজারে আগাম আসা এ তরমুজের দামও বেশি।
প্রচণ্ড গরম না পড়লেও ক্রেতারা ফল কিনছেন বলে খুশি ব্যবসায়ীরা। মূলত বাজারে ওঠা এ তরমুজ আরও ১৫/২০ দিন পর ক্ষেত থেকে কাটার কথা। কিন্তু দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষকেরা ক্ষেত থেকে আগাম তরমুজ তুলে তা বিক্রি শুরু করেছেন। তাতে চাষিরাও দামও পাচ্ছেন বেশি।
কুয়াকাটা থেকে নৌপথে বাগেরহাটের মোংলা, রামপাল, শরণখোলাসহ আশপাশের উপজেলাগুলোতে আসছে এ তরমুজ। বাগেরহাটের মোংলা বন্দর ও পৌর শহরের শেখ আব্দুল হাই সড়ক, চৌধুরীর মোড় ও তাজমহল রোডের ফল মার্কেট ভরে গেছে কুয়াকাটার বাংলালিংক ও কালো প্রজাতির তরমুজে।
তাজমহল রোডে ফল ব্যবসায়ী মো: সাহাবুদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘শুধু কুয়াকাটায় আগাম চাষ করা তরমুজই বাজারে এসেছে। মূলত এ তরমুজ ওঠার কথা আরও ১০/১৫ দিন পর থেকে। তবে গত কয়েকদিন ধরে কালবৈশাখী ঝড়, শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতির আশংকায় কৃষকরা ক্ষেত থেকে চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকেই তরমুজ তুলে আমরা যারা ব্যবসা করি তাদেরকে খবর দিচ্ছে। কারণ ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমলে ও শীল/শীলা পড়লে গাছ এবং তরমুজ পচে যায়। কৃষকদের দেয়া খবরে আমরা ব্যবসায়ীরা যে যার মত পাইকারি কিনে এনে মোংলাসহ আশপাশের বাজারে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করছি।’
চৌধুরীর মোড়ের ফল ব্যবসায়ী মো: মোয়াজ্জেম হোসেন ও মো: মনির হোসনে বলেন, ‘গত সোমবার থেকে আমরা কুয়াকাটা থেকে তরমুজ আনতে শুরু করেছি। মঙ্গলবার ও বুধবার দোকানে তুলতে দেরি, কিন্তু বিক্রি করতে দেরি নেই। প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাতেও ক্রেতাদের অনাগ্রহ নেই, চাহিদা বেশ ভালই। ছোটগুলোর দাম ৭০/৮০ টাকা। তরমুজের প্রথম চালানে প্রায় ৭ কেজি ওজনের তরমুজও পাওয়া গেছে।
তাজমহল রোডের ফল ব্যবসায়ী সুকান্ত মন্ডল বলেন, ‘কুয়াকাটা ও খুলনার দাকোপের তরমুজই সবচেয়ে ভাল এবং মিষ্টি। কুয়াকাটার তরমুজ বাজারে আসলেও দাকোপের তরমুজ বাজারে আসতে সময় লাগবে এখনও প্রায় এক মাস। কারণ মাত্র ১০/১৫ দিন হল কৃষকেরা মাঠে বীজ দিয়েছে। লতা-পাতা ফুটে বের হতেই গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তা পচে গেছে। এখন নতুন করে আবার বীজ বপন করছে কৃষকেরা। শুরুতেই ক্ষতির মুখে পড়ায় এবার দাকোপের এ ফসলের কি হয় তা বলা যাচ্ছে না।