কৃষকের সোনালি স্বপ্ন ইরি-বোরো ধান

  • তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, গাইবান্ধা, বার্তা২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইরি-বোরো ধানে বাম্পার ফলন আশা করছে কৃষকরা, ছবি: বার্তা২৪

ইরি-বোরো ধানে বাম্পার ফলন আশা করছে কৃষকরা, ছবি: বার্তা২৪

কৃষি ভান্ডার জেলা হিসেবে পরিচিত গাইবান্ধা। আর এই গাইবান্ধা জেলার দিগন্ত জুড়ে নজর কাড়ছে ইরি-বোরো ধানের ক্ষেত। কৃষকের কাঙ্খিত সোনালি স্বপ্নের এ ক্ষেত এখন গাঢ় সবুজে পরিণত হয়েছে। এবার আশানুরূপ ফলন পেতে সেচ ও সার-কীটনাশক প্রয়োগসহ আগাছা পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষক ও নারী কৃষাণীরা। মৌসুমের শুরু থেকেই ইরি-বোরো চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে স্থানীয় কৃষকরা।

শুক্রবার (২২ ফেব্রয়ারি) জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে সরেজমিনে ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, নারী কৃষাণীরা শ্রম মূল্যেও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে জানা গেছে। কৃষাণী মিনারা বেগম ও জমিলা বেগম অভিযোগ করে বলেন, 'একজন পুরুষের মজুরি ৩৫০ টাকা, আর মহিলাদের মজুরি দেওয়া হচ্ছে মাত্র ১৫০টাকা। এ বৈষম্য থেকে পরিত্রাণ চায় নারী শ্রমিকরা।'

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড, উফশী ও স্থানীয় জাতের ধান রয়েছে।

পলাশবাড়ীর কৃষক সাদা মিয়া, খালেকুজ্জামান ও কলিম উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'চলমান আবহাওয়ার বিরুপ প্রক্রিয়া না ঘটলে গত বছরের তুলনায় এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।'

এদিকে, কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণকে কখনও মাঠ পর্যায়ে দেখা যায় না। তারা যদি কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দিতেন তাহলে অধিক ফলন উৎপাদন করা সম্ভব।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্ত আবু তাহের মিয়া বলেন, 'জেলার নিচু এলাকার কৃষকরা সেচ পাম্পের সাহায্যে জলাবদ্ধ বিলগুলোর পানি নিষ্কাশন করে বোরো আবাদ করায় গতবারের তুলনায় এ বছর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।'