সুন্দরবনে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

  • আবু হোসাইন সুমন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বাগেরহাট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবন দেখতে আসা বিদেশিদের সংখ্যাও বেড়েছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

সুন্দরবন দেখতে আসা বিদেশিদের সংখ্যাও বেড়েছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

টানা তিন দিনের ছুটির কারণে সুন্দরবনে দেশি পর্যটকদের ঢল নেমেছে। সেই সাথে বিদেশি পর্যটকদের উপস্থিতিও বেড়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতি থেকে শনিবার পর্যন্ত তিন দিন সরকারি ছুটি। আর টানা এ ছুটি উপভোগ করতে আসা ভ্রমণ পিপাসুদের পদচারণায় এখন মুখর সুন্দরবনের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র করমজল, হাড়বাড়িয়া, হিরণপয়েন্ট, নীল কমল, কটকা, কচিখালী ও দুবলাসহ বিভিন্ন স্পট।

মূলত নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত হলো সুন্দরবনের পর্যটন মৌসুম। কিন্তু চলতি মৌসুমের শুরু থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ নানা কারণে পর্যটকদের আনাগোনা খুবই কম থাকলেও ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে তা বাড়তে শুরু করে।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/22/1550832403543.jpg

এরই মধ্যে ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে পরপর তিন দিন ছুটি থাকায় দর্শনার্থীদের আগমন হঠাৎ করে বৃদ্ধি পাওয়ায় রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে বনবিভাগের স্বল্প সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে।

বিজ্ঞাপন

করমজলে দর্শনার্থীদের ভ্রমণ সুবিধার্থে রয়েছে দুইটি সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার, দুইটি ফুট ট্রেইলার, খাঁচায় আটকে রাখা হরিণ ও বানর এবং পুকুরে কুমির ও কচ্ছপ। এছাড়া তো রয়েছে গাছগাছালি ও পাখপাখালির নৈস্বর্গিক দৃশ্য।

পূর্ব সুন্দরবনের করমজল পর্যটনকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আজাদ কবির জানান, পরপর তিন দিন ছুটি থাকার কারণেই হঠাৎ করে পর্যটকদের আগমন খুব বেড়েছে। শুক্রবার করমজলে প্রায় তিন হাজার পর্যটক এসেছে। আর বৃহস্পতিবারও প্রায় দুই হাজারের বেশি পর্যটক আসে। এর আগে গত মঙ্গল ও বুধবার দৈনিক প্রায় ১২০০ মতো পর্যটক এসেছিল করমজলে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/22/1550832463455.jpg

মংলার পর্যটন ব্যবসায়ী দ্যা সাউদার্ন ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর পরিচালক মো: মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘মৌসুমের প্রথম দিক থেকে পর্যটকদের খুব মন্দাভাব গেলেও মাঝামাঝি পর্যায়ে এসে কিছুটা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার ২১ ফেব্রুয়ারি ও শুক্র, শনি পরপর তিন দিন ছুটি থাকায় পর্যটকদের আগমন অনেক বেশি বেড়েছে।’

‘মংলা ও খুলনার প্রায় ৫০টি ছোট বড় এসি-ননএসি লঞ্চ এখন দেশি-বিদেশি পর্যটক নিয়ে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অবস্থান করছে। এগুলো শনিবার সন্ধ্যায় ফিরে আসবে। এই মুহূর্তে ঘাটে কোনো লঞ্চ ও ট্যুরিস্ট বোট ফাঁকা নেই। চাপ বাড়ায় সকলকে বন ভ্রমণের ব্যবস্থাও আমরা করতে পারছি না।’

এদিকে পর্যটকদের চাপে বাগেরহাটের মংলা বন্দর ও পৌর শহরের সকল হোটেল-মোটেলগুলো পরিপূর্ণ রয়েছে। শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে আসা পর্যটকরা হোটেলে সিট না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/22/1550832435471.jpg

পৌর শহরের শেখ আব্দুল হাই সড়কের আবাসিক হোটেল আমিন ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার মো: ইদ্রিস বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে কয়েকদিনের জন্য আগাম বুকিং রয়েছে। সিট দিতে পারছি না। হোটেলের এসি, নন-এসি সব রুমই বুকিং রয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে লোকজনকে ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে।’

একই দৃশ্য হোটেল পশুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, শেখ আব্দুস সালাম ইন্টারন্যাশনাল ও  বন্দর হোটেলসহ অন্যান্য সকল হোটেলগুলোর।

এমতাবস্থায় আগেভাগে আসা পর্যটকদের চাপে হোটেল-মোটেলে সিট না পাওয়ায় ও ঘাটে কোনো ধরণের ট্যুরিস্ট বোট না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন সুন্দরবন দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসা দর্শনার্থীরা।