মেহেরপুর মুখরিত অতিথি পাখির কলরবে

  • মাজেদুল হক মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, মেহেরপুর, বার্তা২৪.কম 
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুর মুখরিত অতিথি পাখির কলরবে। ছবি: বার্তা২৪.কম

মেহেরপুর মুখরিত অতিথি পাখির কলরবে। ছবি: বার্তা২৪.কম

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত মেহেরপুরের মাথাভাঙ্গা মরানদী। নাম না জানা এসব পাখি স্থানীয়দের কাছে অতিথির মতোই সমাদরে আছে। পাখিদের বিচরণ মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি করে আশপাশের মানুষের হৃদয় জয় করেছে।

জানা গেছে, গাংনী উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় মাথাভাঙ্গা মরা নদীর অংশে শীতের শুরুতেই পাখির মিলন মেলা বসে। বর্তমানে হাজারো পাখির বিচরণে আশপাশে এক ভিন্ন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত গোটা এলাকা। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত নাম না জানা এসব অতিথি পাখির বিচরণে মুদ্ধ এলাকাবাসী।

বিজ্ঞাপন

নদী পাড়ে প্রতিদিনই আশপাশের লোকজন পাখি দেখতে আসেন। নদীতে ভেসে থাকা কচুরিপানার উপরেই আবাস গেড়েছে পাখিরা। নদীর পানিতে গোসল ও ভেসে বেড়িয়ে সময় পার করে ভিন্ন প্রজাতির পাখিগুলো।

অপরদিকে পাখিরা যখন দলবেঁধে আকাশে ওড়ে, তখন এক ছন্দময় পরিবেশ সৃষ্টি করে।

মহাম্মদপুর গ্রামের বৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম জানান, বেশ কয়েক বছর ধরেই পাখিগুলো আসছে। এবার সবচেয়ে বেশি হাজার হাজার পাখি এসেছে। শীতকালে পাখিগুলোর দেখা মেলে। শীত পেরিয়ে গেলে আবারো ফিরে যায় আপন গন্তব্যে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/18/1550493130949.jpg

এদিকে গ্রামের ছেলে বুড়ো সকলের কাছেই সমাদর পাচ্ছে পাখিগুলো। বিশেষ করে স্কুলগামী ছেলেমেয়েদের মাঝে পাখি নিয়ে কৌতূহল ও পাখি দেখার আগ্রহের সীমা নেই।

স্থানীয় নবম শ্রেণির ছাত্রী ফারহানা হক বলে, ‘আমরা রাতে ঘুমাতে যাই পাখির কিচিরমিচির ডাক শুনে। আবার একই ডাকে সকালে ঘুম থেকে উঠি। স্কুল থেকে ফিরে বিকেলে নদীপাড়ে পাখি দেখি। এদের বিচরণ খুব ভালো লাগে। এরা যদি সারা বছর থাকত তাহলে আরও ভালো লাগত।’

মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদ জানান, ‘ওরা আমাদের অতিথি। ওদের ওপর যাতে শিকারিদের কোনো আক্রমণ না হয়, সে ব্যাপারে স্থানীয়দের বলা হয়েছে।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল বলেন, ‘তীব্র শীতের কারণে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে হয়তো পাখিগুলো এসেছে। পাখি থাকার স্থানে দর্শনার্থীদের সুবিধা বাড়াতে কী করা যায় তা আমরা ভেবে দেখছি।’