থানকুনি বিক্রি করে পেট চলে হেমায়েতের

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বাগেরহাট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

থানকুনি বিক্রি করে পেট চলে হেমায়েতের। ছবি: বার্তা২৪.কম

থানকুনি বিক্রি করে পেট চলে হেমায়েতের। ছবি: বার্তা২৪.কম

গরিবের এন্টিবায়োটিক ‘থানকুনি’ বিক্রি করে সংসার চলে হেমায়েত হোসেনের। র্দীঘ প্রায় এক যুগ ধরে হেমায়েত (৬৮) মিষ্টি পানির বিভিন্ন এলাকা থেকে এ থানকুনি পাতা সংগ্রহ করেন এবং বাগেরহাটের মংলার প্রধান কাঁচাবাজার সংলগ্ন গ্রাম্য হাটে তা বিক্রি করেন।

‘গ্রাম্য হাট’ বলা হয় এ কারণেই এখানে যারা বসেন তারা সকলেই গ্রামের তাজা সবজি ও ফলফলাদি নিয়ে আসেন। হেমায়েতও ভোর বেলা তার থানকুনি পাতা নিয়ে হাজির হন। ভোর বলতে একেবারেই সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই। হাটে এক ভাগ থানকুনি পাতা বিক্রি করেন ১০ টাকা করে। এর কেজি পড়ে প্রায় ১শ টাকা। তার এই থানকুনি পাতা চোখের পলকেই বিক্রি হয়ে যায়। ভোরে না আসলে পাওয়াই যায় না থানকুনি পাতা ও বিক্রেতা হেমায়েতকে।

বিজ্ঞাপন

হেমায়েত হোসেনের বাড়ি বাগেরহাটের মংলার বালুরমাঠ এলাকায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/17/1550409027166.jpg

বিজ্ঞাপন

হেমায়েত হোসেন বলেন, ‘স্ত্রী নেই, তিন ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। ছেলেরা যে যার মতো দিনমজুরের কাজ করে। প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়েই থাকেন তিনি। থানকুনি পাতা বিক্রি করেই পেট চলে তাদের। ছেলেরা তাকে মাঝে মাঝে দেখলেও অসহায় মেয়ের জন্যই তাকে এ বয়সে এটা করতে হচ্ছে।

থানকুনি পাতার হাটে কথা হয় পৌর শহরের ভ্যান চালক মিন্টুর সঙ্গে। তিনি জানান, শনিবার রাত থেকে তার ছেলের পাতলা পায়খানা ও পেটে ব্যথা। ডাক্তার দেখানো ও ওষুধ কিনে খাওয়ানোর মতো টাকা নেই তার কাছে। তাই তার মায়ের কথায় ১০ টাকার থানকুনি পাতা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এটা খাওয়ালে পাতলা পায়খানা ও পেট ব্যথা ভালো হয়।

বাগেরহাটের মংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জীবিতেষ বিশ্বাস জানান, থানকুনি পাতা বিশেষ করে পেটের সমস্যার জন্য ভীষণ উপকারী। এটি একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। এটি খেলে ডায়রিয়া, আমাশয় ভালো হয়।