ডেপুটেশনে চিকিৎসক, হাসপাতালের বেহাল দশা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, কুষ্টিয়া, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ছবি: বার্তা২৪

মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ছবি: বার্তা২৪

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট কার্ডিওলজি ডাঃ বসির উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের আদেশে ৫ বছরের বেশি সময় ধরে অন্যত্র ডেপুটেশনে রয়েছেন। অথচ ডেপুটেশন আদেশের নিয়মানুসারে তিনি নিয়মিত বেতন উত্তোলন করে থাকেন মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকেই। ২০১৩ সালের ১৬ জুলাই যোগদান করেন তিনি।

ডাঃ বসির উদ্দিনের ডেপুটেশন থাকায় গত ৫ বছরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা অসংখ্য রোগী মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ডাঃ বশির উদ্দিনের ডেপুটেশন আদেশ বাতিল কিংবা নতুন কোন কার্ডিওলজি চিকিৎসকের পোস্টিং দেয়নি। কতজন রোগী কত বছর ধরে হার্টের চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেলে ডেপুটেশন আদেশ বাতিল হবে তা কেউ জানে না। এভাবেই চলছে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

বিজ্ঞাপন

উপজেলার সাড়ে তিন লাখ মানুষের চিকিৎসা কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। অথচ সরকারি এই হাসপাতালের করুণ দশা। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এমন অবস্থা বিরাজ করছে। এছাড়াও হাসপাতালে আগত রোগীরা ঔষধ না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে ওষুধ পাওয়া যায় না।এটি একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।

ডাক্তার থাকলে ওষুধ থাকে না, ওষুধ থাকলে ডাক্তারের দেখা মেলে না। সাধারণ রোগীরা যখন ওষুধ পাচ্ছে না তখন হাসপাতাল চালু রেখে অযথা টাকা ব্যয় করার কোনো প্রয়োজন নেই বলেও অনেকেই মন্তব্য করেছেন।

অপরদিকে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোটি টাকা মূল্যের নতুন এক্সরে মেশিন এক যুগেরও বেশি সময় ধরে প্যাকেটজাত অবস্থায় স্টোররুমের জায়গা দখল করে পড়ে আছে। দীর্ঘদিনেও মেশিনটি জনস্বার্থে ব্যবহার করা হয়নি।