চিতলমারী ইউএনও’র বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির তদন্ত শুরু
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান শামিমের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম এ তদন্ত কাজ শুরু করেন।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদের বিরুদ্ধে 'জমি আছে ঘর নাই' প্রকল্পের ৫০৫ টি ঘর নির্মাণে ঘর প্রতি ২০ হাজার টাকা করে দেড় কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণসহ বিভিন্ন সড়কের পাশের সরকারি গাছ নামমাত্র দামে নিলামের মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ১৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ, উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫ জন নৈশপ্রহরী নিয়োগ দিয়ে ৫৫ লাখ টাকা ও মধুমতি নদীর বাওড় হতে বড়গুনি খাল খননের ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাতসহ সরকারের নানা উন্নয়ন প্রকল্পের অনিয়মসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন চিতলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান শামিম।
উপজেলা চেয়ারম্যান স্ব-প্যাডে প্রধানমন্ত্রীসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবর অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ তদন্ত শুরু করেছে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু সাঈদ বলেন, অভিযোগ যে কেউ, যে কারো বিরুদ্ধেই দিতেই পারেন। তদন্তে যদি আমি দোষী প্রমাণিত হই তাহলে কেউ তো আর আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক ও বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (তদন্ত কর্মকর্তা) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘চিতলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান শামিম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু সাঈদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তিনি চিতলমারীতে এসে বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছেন।'