‘ব্রিজ ঠিক করে দেন, স্কুলে যেতে কষ্ট হয় আমাদের’

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, লালমনিরহাট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

‘একাদশ নির্বাচনে প্রার্থীরা আশ্বাস দিয়ে গিয়েছিলেন ভোট শেষে এই ব্রিজের সংস্কার কাজ শুরু হবে। অথচ এখন আর কেউ ব্রিজের ব্যাপারে খোঁজ নেয় না। আসছে উপজেলা নির্বাচনেও হয়তো প্রার্থীরা আমাদের এই ব্রিজ সংস্কারের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়ে যাবেন। কিন্তু আমরা আর কতকাল অপেক্ষা করব। কবে এই ব্রিজের সংস্কার করা হবে?’

অনেকটা আক্ষেপ নিয়েই বার্তা২৪.কমকে কথাগুলো বলছিলেন লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের বাসিন্দা ললনী কান্ত।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, একটি ব্রিজের অভাবে ৬টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিশেষ করে বেশি দুর্ভোগে পড়ে আশোয়ারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, ২০১৫ সালে প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের আশোয়ার পাড় চেনাকেটা নদীর উপর ব্রিজটি নির্মাণ করে স্থানীয় প্রকৌশলী বিভাগ। নির্মাণের কিছুদিন পরে বন্যায় ব্রিজের দুই অংশ ভেঙে যায়। এতে দুর্ভোগে পরে প্রায় ২০ হাজার মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তা ঠিক থাকলেও ব্রিজটির দুই অংশ ভেঙে গিয়েছে। এ কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/04/1549257339771.jpg

আশোয়ারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থী রাসনাথ জাহান সিমা বলে, ‘আমাদের ব্রিজ ঠিক করে দেন। আমাদের স্কুলে যেতে অনেক কষ্ট হয়।’

ওই এলাকার আফসার উদ্দিন বলেন, ‘যাতায়াতের জন্য মাত্র একটি রাস্তাই রয়েছে আমাদের। তাও আবার ব্রিজের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের একটিই চাওয়া, তিনি যেন খুব দ্রুত এই ব্রিজটি ঠিক করে দেন।’

জগতবেড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নবিবর রহমান জানান, বরাদ্দ এলেই ব্রিজটি সংস্কার করে দেওয়া হবে।

পাটগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী আবু তৈয়ব শামসুজ্জামান বলেন, ‘ব্রিজটির এমন অবস্থার বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। জানালে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতাম। এবার বরাদ্দ এলেই ব্রিজটির সংস্কারের কাজ করা হবে।’