বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা, হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক

  • মাজেদুল হক মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, মেহেরপুর, বার্তা২৪.কম 
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা, হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক। ছবি: বার্তা২৪.কম

বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা, হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক। ছবি: বার্তা২৪.কম

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (উপজেলা হাসপাতাল) শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক সপ্তাহে দেড় শতাধিক শিশু রোটা ভাইরাস ও ঠান্ডাজনিত অন্যান্য রোগের চিকিৎসা নিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষও ঠান্ডাজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা।

গাংনী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. বিডি দাস জানান, গেল এক সপ্তাহে ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগে ৫৯ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। প্রাপ্ত বয়স্ক রোগী ভর্তি হয়েছে ২২ জন। এছাড়াও আউটডোরে দেড় শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছে।

গাংনীর পূর্ব মালসাদহ গ্রামের জাকির হোসেনের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘আমার দেড় বছর বয়সী শিশুর ডায়রিয়া ও বমি হওয়ায় গত তিনদিন আগে এই গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছি। এখন বেশ সুস্থ। সম্পূর্ণ সুস্থ হতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।’

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/27/1548586545898.jpg

তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের বৃদ্ধ আজমত আলী বলেন, ‘দুই সপ্তাহ ধরে আমার কাশি ও জ্বর থাকায় এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এখনো সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারিনি।’

রোগী ও তাদের কয়েকজন স্বজন জানান, ডায়রিয়া রোগীর জন্য হাসপাতাল থেকে স্যালাইন দেয়া হচ্ছে। অন্যান্য ওষুধ সামান্য কিছু পাওয়া যায়। বাকিটা বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।

গাংনী হাসপাতালের আরএমও ডা. বিডি দাস জানান, শীতকালে শিশুদের রোটা ভাইরাসে ডায়রিয়া হয়ে থাকে। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। এ কারণে শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এ রোগ সারতে এক সপ্তাহ সময় লাগে। ডায়রিয়া চিকিৎসায় হাসপাতালে স্যালাইন রয়েছে বলেও জানান তিনি।