মংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে বালু বোঝাই বলগেট ডুবি
মংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে বালু বোঝাই একটি বলগেট ডুবির ঘটনা ঘটেছে। প্রচণ্ড স্রোতের টানে নোঙ্গরের শিকল ছিঁড়ে পেছনে থাকা অপর আরেকটি নৌযানে সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় বলগেটটি। বলগেট উদ্ধারে এখনও পর্যন্ত কাজ শুরু করেনি মালিক পক্ষ।
বন্দরের হারবার মাষ্টার কমান্ডার দুরুল হুদা বলেন, নৌযানটি ডুবায় মুল চ্যানেলে জাহাজ চলাচল বাঁধাগ্রস্ত হবে কিনা ঘটনাস্থল ঘুরে না এসে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছেনা।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বাহারুল ইসলাম বাহার জানান, সুনামগঞ্জ থেকে ১৪ হাজার ফুট লাল বালু বোঝাই করে এম,বি জুবায়ের নামক বলগেটটি খুলনা যাওয়ার পথিমধ্যে মঙ্গলবার রাতে মংলা বন্দরের পশুর নদীর বানীশান্তা এলাকায় নোঙ্গর করে অবস্থান নেয়। গভীর রাতে প্রচণ্ড স্রোতের টানে বলগেটের নোঙ্গরের শিকল ছিঁড়ে পিছনে থাকা একটি টাগ বোটের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই বালু বোঝাই বলগেটটি ডুবে যায়। বলগেটে থাকা ৯জন স্টাফ সাতরিয়ে পাশের নৌযানে উঠে যাওয়ায় কারো কোন ক্ষতি হয়নি। রাতে বলগেট ডুবির পর বুধবার দুপুর পর্যন্ত মালিক পক্ষ ঘটনাস্থলে যায়নি এবং উদ্ধার তৎপরতাও শুরু করেনি।
নৌযান শ্রমিক নেতা বাহার বলেন, প্রায় ৬ লাখ টাকার বালু নিয়ে কোটি টাকা মূল্যের নৌযানটি ডুবে যাওয়ার পর সেটিকে উদ্ধারের জন্য মালিকপক্ষ বরিশাল থেকে দুপুরে মংলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত বলগেটের ইঞ্জিন ও ট্যাংক থেকে তেল ছড়িয়ে পড়ায় পরিবেশের ক্ষতির আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ডুবন্ত নৌযানের জ্বালানী ছড়িয়ে পড়ায় পানি দূষণের পাশাপাশি জলজ ও প্রাণীজ সম্পদের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক বছরই বন্দর চ্যানেলসহ সুন্দরবনের আশপাশে জলযান ডুবছে, সেই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি সজাগ হতে হবে এবং ফিটনেসবিহীন নৌযান চলাচলে বিধি নিষেধ আরোপ করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করছি।