প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ বিক্রি, ২ ফার্মেসিকে জরিমানা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুছাব্বিরুল ইসলাম (ঔষধ হাতে)/ ছবি: বার্তা২৪.কম

কুষ্টিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুছাব্বিরুল ইসলাম (ঔষধ হাতে)/ ছবি: বার্তা২৪.কম

কুষ্টিয়ায় ঔষধ ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে চেতনানাশক ঔষধ সিনামিন ও ট্যাপেন্টা ট্যাবলেটসহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক দুইটি ঔষধের দোকানে অভিযান চালিয়ে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ বিক্রয়ের সত্যতা পাওয়ায় দুই ফার্মেসি মালিককে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুছাব্বিরুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের অভিযানে হাসপাতাল মোড়সহ কয়েকটি ফার্মেসি থেকে ট্যাপেন্টা ট্যাবলেটসহ তিন জনকে আটক করা হয়।

তারা কোন দোকান থেকে ওষধ কিনেছে এমন তথ্য নিয়ে বুধবার দুপুরে শহরের হাসপাতাল মোড়ের রাসেল ফার্মেসি ও সার্কিট হাউসের সামনে মায়া ফার্মেসিতে অভিযান চালানো হয়।

এ সময় প্রেসক্রিপশনবিহীন টাপেন্টা নামক ট্যাবেলট বিক্রি করার অপরাধে ড্রাগ অ্যাক্ট-১৯৪০ ধারা (১৮) মোতাবেক মায়া ফার্মেসিকে ৫০ হাজার ও রাসেল ফার্মেসিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

কুষ্টিয়ার ড্রাগ সুপার মোহাম্মদ ওয়াহিদুর রহমান বার্তা২৪কে বলেন, ‘ফার্মেসিতে প্রেসক্রিপশনবিহীন অন্তত ৪০ ধরনের ঔষধ বিক্রয় করতে পারবে না- এমন নির্দেশ অমান্য করে কুষ্টিয়ার ফার্মেসিগুলোতে অহরহ এসব বিক্রি করা হচ্ছিল।’

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বার্তা২৪কে বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে সম্প্রতি মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানের কারণে কুষ্টিয়াসহ পাশ্ববর্তী অঞ্চলে মাদক প্রায় নির্মূলের পথে।’

‘ফলে মাদকসেবীরা মাদকের পরিবর্তে চেতনানাশক ঔষধের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। যার ফলশ্রুতিতে কুষ্টিয়ায় বিভিন্ন ঔষধের দোকানে অভিযান চালিয়ে কাশির সিরাপ সিনামিন ও ট্যাপেন্টা ট্যাবলেটসহ তাদেরকে আটক করি।’

প্রসঙ্গত, কুষ্টিয়ায় মাদক নেশায় যোগ হয়েছে চেতনানাশক ট্যাবলেট, প্রেসক্রিপশন ছাড়া মিলছে ঘুমের ঔষধ। কুষ্টিয়া শহরসহ গ্রামের অলিতে গলিতে ফার্মেসিগুলোতে চলছে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঘুমের ঔষধ বিক্রির রমরমা ব্যবসা।

কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ঔষধ বিক্রির অন্তরালে নেশাজাতীয় ইনজেকশন ও ঘুমের ট্যাবলেট বিক্রয় করছে অধিক মুনাফা লাভের আশায়। ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজার পাশাপাশি এবার নেশার রাজ্যে যুক্ত হয়েছে ঘুমের ট্যাবলেট। বিভিন্ন ধরণের ঘুমের ট্যাবলেট মাদকসেবীদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে নেশার ক্ষেত্রে।