নিজেদের সমস্যা, নিজেরাই সমাধান

  • মাজেদুল হক মানিক,ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নেত্রকোনা, বার্তা২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

মেহেরপুরের ভাটপাড়া আবাসনের বাসিন্দাদের জন্য নিজস্ব কবরস্থান না থাকায় চরম বিড়ম্বনায় প্রতিনিয়ত পড়তে হয়। সহযোগিতার আশায় দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরও আলোর মুখ দেখেননি তারা। শেষ পর্যন্ত নিজেদের সমস্যা সমাধানে নিজেরাই এগিয়ে এলেন। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে মাত্র দুই দিনে তৈরি করা হলো নতুন কবরস্থান। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক আলোচিত হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/12/1547283788244.jpg

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, ভাটপাড়া আবাসন প্রকল্পের এলাকার ৯০ টি হতদরিদ্র পরিবার বাস করেন। এখানকার জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে তিনশ। আবাসনে সরকারী সম্পত্তিতে তাদের জন্য নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে ঘরবাড়ি। রয়েছে শাক-সবজি আবাদের মত জমি ও টয়লেট ও গোসলখানা। প্রতিটি পরিবারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫ শতক করে জমি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/12/1547283802432.jpg

২০০৪ সাল থেকে এই আবাসনে বসতি শুরু হয়। তখন থেকেই কেউ মারা গেলে সংকটে পড়তে হয়েছে ওই পরিবারের অন্য সদস্যদের।

এদিকে, শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কবরস্থান নির্মাণের কাজ শুরু হলে আবাসনের প্রতিটি পরিবারের লোকজন ঝুঁড়ি-কোদাল নিয়ে কাজে যোগ দেন। পিছিয়ে ছিল না নারী ও শিশুরাও। দুই দিন কাজ করার পর শনিবার দুপুরে কবরস্থানের কাজ সম্পন্ন হয়। এতে আনন্দের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে আবসান এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে। কারও সহযোগিতা কিংবা দয়ার অপেক্ষায় না থেকে স্বেচ্ছাশ্রমের এ কাজটি এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/12/1547283818362.jpg

আবাসনের সভাপতি শুকুর আলী জানান, মরদেহ দাফন করতে হতো আশেপাশের গ্রামগুলোতে। এতে চরম বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়। সরকারী বিভিন্ন দফতরে ধরনা দিয়েও কোন প্রতিকার হয়নি। শেষ পর্যন্ত আমরাই সিদ্ধান্ত নেই কবরস্থান তৈরি করার। আবাসনের এক পাশে পড়ে থাকা কিছু খানা-গর্তের জায়গা ভরাট করে কবরস্থান তৈরি করা হয়েছে। এখন আর মরদেহ দাফন নিয়ে কোন অনিশ্চয়তা থাকল না।

এ প্রসঙ্গে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল বলেন, বিষয়টি অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। এ ধরনের কাজে এলাকার অন্যান্যদের উৎসাহিত করবে।