বয়স্ক ভাতার কার্ড চান পাঁচি বেগম

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, কুষ্টিয়া, বার্তা২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্পের পাঁচি বেগম, বয়স ৯০ বছর। স্বামী মারা গেছেন কত বছর হলো সঠিক হিসাব মনে নেই তার। আনুমান করে বলেন, ৩০ বছর আগে হবে হয়তো। 

স্বামী মারা যাওয়ার পর পাঁচি বেগম মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু বয়সের ভারে অনেক আগেই কর্মশক্তি হারিয়েছেন তিনি। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই ভিক্ষা করেন।

বিজ্ঞাপন

পাঁচি বেগমের প্রশ্ন ‘আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতার কার্ড পাবো? খেয়ে পরে বেঁচে থাকার জন্য শুধু একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড চাই।’

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (বোর্ড অফিস) ও মেম্বারদের কাছে অনেকবার ধরনা দিয়েছেন একটি বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য। কিন্তু পাননি তিনি। বরং ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দা থেকে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এই বৃদ্ধা আক্ষেপ করে বলেন, ‘আগে আমি বোর্ড অফিসে গেছি। সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এখন আমি অসুস্থ্, চলতে পারি না। তাই বাধ্য হয়ে হাত পেতে ভিক্ষা করতে হয়।

স্থানীয় নাগরিক সজীব দেওয়ান বলেন, এই বৃদ্ধার অনেক বয়স হলেও তিনি বয়স্ক ভাতার কার্ড এখনো পায়নি। বিষয়টি নিয়ে ইউএনওর কাছে জানিয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। আমাকে তার কাগজপত্র, ছবি সংগ্রহের জন্য বলেছেন।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শারমীন আক্তার বার্তা২৪কে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে দ্রুতই তার হাতে বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড তুলে দেবো ‘

বয়স্ক ভাতা কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড হলেও অন্তত কিছুটা চলতে পারতেন পাঁচি বেগম।