নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা নীলফামারী
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রয়োগে মুখিয়ে আছেন নীলফামারী জেলার ভোটাররা। ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারনাও শেষ। ভোটের মাঠে অপ্রীতিকর ঘটনা বা ভোটারদের শঙ্কা কাটাতে সারাদেশের মতো পুরো নীলফামারী জেলাকে নিরাপত্তার আওতার মধ্যে এনেছে আইনশৃঙ্খলা ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। তারা জেলার গুরুত্বপূর্ণ মোড় এবং স্থানে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে তল্লাশি করছে।
র্যাব-১৩ (রংপুর) এর সিপিসি দুইয়ের একাধিক টিমকে জেলাব্যাপী টহল দিতে দেখা গেছে। জননিরাপত্তা প্রদানে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শুরু হয় র্যাবের টহল, ভোটকেন্দ্রে নজরদারি, শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি।
র্যাবের নীলফামারী ক্যাম্প কমান্ডার মেজর নাজমুল হুদা জানান, সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরাপদ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন এবং সবাই যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে এ জন্য বিশেষ এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'কেউ যাতে নির্বাচন বানচাল করতে না পারে, সে জন্য সর্বদা সতর্ক থাকবে বাহিনীর সদস্যরা।'
নীলফামারীর চারটি আসনের জন্য ১৬ প্লাটুন বিজিবি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করছে। এছাড়াও পুরো জেলায় সেনা সদস্য রয়েছেন প্রায় ৩০০ জন। এদিকে নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সকল বাসস্ট্যান্ড ও রেল স্টেশনে নিরাপত্তার দায়িত্বে র্যাব-পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
অপরদিকে নির্বাচন উপলক্ষে টানা তিন দিন ছুটি পেয়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। শুক্র ও শনিবার সরকারি সাপ্তাহিক ছুটি। ভোটের দিন রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সাধারণ ছুটি। শহরের সড়কগুলোতে কমে গেছে যান চলাচল। গণপরিবহন, বাস, রিকশা, সিএনজি, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস তুলনামূলক কম চলাচল করছে। নীলফামারী, জলঢাকা, সৈয়দপুর, ডোমার ও ডিমলার বিভিন্ন সড়কে অন্য দিনের তুলনায় সড়ক ফাঁকা ছিল।
নীলফামারীর চারটি আসনে মোট ২১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রাত পোহালেই জেলার চারটি আসনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ১২ লক্ষ ৯২ হাজার ২৮০ জন। যার মধ্যে ৬ লক্ষ ৪৯ হাজার ৪৩৫ জন পুরুষ এবং ৬ লক্ষ ৪২ হাজার ৯৪৫ জন নারী ভোটার রয়েছেন।