‘উপাচার্য অপসারিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম অপসারিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন।
তিনি বলেন, ‘উপাচার্য অপসারণের দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি ছাড়া আন্দোলন বন্ধ করা হবে না।’
সোমবার (৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে নির্মিত ‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চে’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘গতকাল শিক্ষামন্ত্রী তার বাসভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অচলাবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনকারীদের আমন্ত্রণ জানান। এসময় তিনি আমাদের কাছ থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক বিষয়গুলো জানতে চান। আমাদের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সকল বিষয়ে আলোচনা করেছেন। শিক্ষামন্ত্রীর সামনে বর্তমান উপাচার্যের দুর্নীতি, অনিয়ম, অযোগ্যতা, একগুয়েমি ও অগণতান্ত্রিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর সকল বিষয় তুলে ধরা হয়। প্রকল্প দুর্নীতি থেকে শুরু করে সকল অনিয়ম আমরা তুলে ধরেছি। শিক্ষামন্ত্রী সকল বিষয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী নিজের জায়গা থেকে কাজ করবেন পাশাপাশি আন্দোলনকারীদেরও ইতিবাচক জায়গা থেকে আন্দোলন প্রত্যাহার করার অনুরোধ করেছেন। তবে উপাচার্য অপসারণের দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি ছাড়া শুধুমাত্র অনুরোধের প্রেক্ষিতে চলমান আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে না।’।
অধ্যাপক রায়হান বলেন,‘আমাদের আন্দোলন তুঙ্গে। এই অবস্থায় কোনভাবেই আমরা আমাদের নিয়মিত কর্মসূচি প্রত্যাহার করবো না। পূর্বের মত সর্বাত্মক ধর্মঘট ও প্রশাসনিক ভবন অবরোধ কর্মসূচি চলবে। উপাচার্য অপসারিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
এসময় তিনি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বাসভবন যে কোন সময় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ অভিযোগ করে বলেন, ‘চলমান আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্দোলনকারী এবং শিক্ষার্থীদেরকে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দিতে চাচ্ছে। আমাদের কর্মসূচির বাইরে যেয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস তালাবদ্ধ করে শিক্ষার্থীদেরকে ভোগান্তির মুখে ফেলে দিচ্ছে। আমরা প্রশাসনের এরকম ন্যাক্কারজনক কাজের নিন্দা জানাই।’
এদিকে টানা ১০ম দিনের মতো প্রশাসনিক ভবন অবরোধ ও অষ্টম দিনের মতো সর্বাত্মক ধর্মঘট কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। তবে এতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন অবরোধের আওতায় থাকলেও গতকাল থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়কে এই অবরোধের আওতায় আনা হয়।