জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত কুবি শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান প্রদান

  • কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত কুবি শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান প্রদান

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত কুবি শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান প্রদান

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিমের সভাপতিত্বে ৩০ জন আহত শির্ক্ষাথীকে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ এবং আন্দোলন পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন, আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী, সমন্বয়ক ও শিক্ষকরা।

এসময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ কাউসার বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিপ্লবকে সম্পূর্ণ ধারণ করতে পারেনি। তারা এখন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বহিষ্কার করলেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় তা করতে পারেনি। এখনো সন্ত্রাসী এবং তাদের দোসররা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়, আর ভয়ে থাকে বিপ্লবীরা। তারা আন্দোলন করেছে সমাজের বৈষম্য ও অন্যায়কে দূর করতে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মুজাম্মল হোসেন আবির বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ, দেরিতে হলেও তারা আহতদের স্মরণ করেছে। তবে আমরা বিপ্লব পরবর্তী যেমন ক্যাম্পাস চেয়েছিলাম তা এখনো হয়ে উঠেনি। বলা হয়েছিলো ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে কিন্তু তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়নি। মাদককে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। প্রশাসন এখনো কোন সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পায়, তারা তাদের সিদ্ধান্ত বারবার পরিবর্তন করে কিসের ভয়ে? আমরা কথা দিচ্ছি আপনারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে সাধারন শিক্ষার্থীরা আপনাদের পাশে থাকবে।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর শিক্ষার্থীদের সামনে দাঁড়াতে পেরে নিজেকে গর্ববোধ করছি। আমরা পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, আহতদের সাহায্য করা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তোমাদের দাবি-দাওয়াগুলো শুনেছি, সেগুলো যৌক্তিক। তবে আমাদের সীমাবদ্ধতাগুলোকেও ভাবতে হবে। একজনের সিদ্ধান্তে সবকিছু হতে পারে না। যা কিছু হবে আলোচনার ভিত্তিতে। আমাদের সব কাজ হবে সম্মিলিতভাবে।

তিনি আরও বলেন, আগে অনেকেই স্বৈরাচারের দলের হয়ে কাজ করেছেন। এখন একাধিক সমন্বয়ক দল তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে আমাদের এগিয়ে যাওয়া কঠিন। আমাদের কাছে অনেকেই আসে কথা বলতে। তাদের অতীত ইতিহাস শুনলে বিশ্বাস হয় না। আবার সুযোগ পেলে যে আগের চরিত্রে ফিরে যাবে না, তার কী গ্যারান্টি। নৈতিকতার অবক্ষয়ের কারণে সব জায়গায় আমরা ঝামেলায় পড়ে যাচ্ছি।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম বলেন, আমাদের দায়িত্ব ছিল চেকগুলো তোমাদের বাসায় পৌঁছে দেওয়া। অবিশ্বাস্য ও অভূতপূর্ব ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে এই জেনজির হাত ধরে। তারাই বুঝিয়ে দিয়েছে সংগ্রামের পথেই মুক্তি। তোমরাই জাতির সূর্য সন্তান। তোমাদের পাশে দাঁড়িয়েছি এটা বলব না, শুধু তোমাদের খোঁজ খবর নিয়েছি।