জাবিতে দুর্ঘটনায় ছাত্রী নিহতের ঘটনায় 'জাহাঙ্গীরনগর ব্লকেড'

  • জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অভ্যন্তরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় মার্কেটিং বিভাগের ৫৩ ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থী আফসানা করিমের (রাচি) মৃত্যুর ঘটনায় ‘জাহাঙ্গীরনগর ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল পৌনে ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ফটকে তালা ঝুলিয়ে প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়েছেন তারা৷ ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে কোনো গাড়ি ভেতরে প্রবেশ করতে পারছে না এবং ভেতরের কোনো গাড়ি বাহিরে যেতে পারছে না৷

বিজ্ঞাপন

সহপাঠী নিহত হওয়ার ঘটনায় ‘জাহাঙ্গীরনগর ব্লকেডের’ অংশ হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে নিহত রাচির সহপাঠীরা বলেন, আমরা নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করাসহ ৮ দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের কর্মসূচি চলাকালে ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হবে না।

শিক্ষার্থীদের ৮ দফা দাবিগুলো হলো- ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই কাঠামোগত হত্যাকাণ্ডের যথাযথ বিচার করতে হবে, পর্যাপ্ত ল্যাম্পপোস্ট, ফুটপাত, ও স্পিড ব্রেকার স্থাপন করতে হবে এবং যানবাহন স্পিডমিটার বাস্তবায়ন করতে হবে, নিহতের পরিবারকে যথাযথ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, মেডিকেল সেন্টারের জরুরি সেবার মানোন্নয়ন করতে হবে, রেজিস্ট্রেশনবিহীন সকল যানবাহন ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং রেজিস্ট্রেশন প্রদানে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে, সকল রিকশাচালকদের প্রশিক্ষণপূর্বক রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করতে হবে, অদক্ষ নিরাপত্তাকর্মীদের প্রত্যাহার করতে হবে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সচল করতে হবে৷

বিজ্ঞাপন

নিহত রিচির সহপাঠী ৫৩ ব্যাচের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী লামিশা জামান বলেন, গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে, সেটাকে আমরা কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড বলে চিহ্নিত করছি। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আমরা ৮ দফা দাবি জানিয়েছি। আজকের কর্মসূচি সকাল পৌনে ৭টার দিকে শুরু করেছি। এর আগে বিভিন্ন হলে হলে মাইকিং করেছি আমাদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে।

ইতিহাস বিভাগের ৫৩ ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী মারজান বলেন, ডেইরি গেইটে সকাল ৭টা থেকে ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা 'জাহাঙ্গীরনগর ব্লকেড' কর্মসূচি পালন করছে৷ বাইরে থেকে মোটরচালিত কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। ভেতরেও মোটরচালিত কোনো গাড়ি আজকে চলছে না। দুপুরে জানাজা হবে। অন্তত সে পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে৷

ব্লকেড কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আদি বলেন, প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল ক্যাম্পাসের মেডিকেলে উপযুক্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করা। একজন শিক্ষার্থী যদি ক্যাম্পাসে আহত হন, তাকে ক্যাম্পাসের মেডিকেলে নেওয়ার পর তার যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা। আফসানার ক্ষেত্রে সেটি হয়নি। এটাকে প্রশাসনের ব্যর্থতা হিসেবে দেখতে হবে। ক্যাম্পাসে শুধু রিকশা নয়, মোটরসাইকেলের গতি নিয়ন্ত্রণের কোনো পদক্ষেপও নেই।