ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে কুবির ৫১ শিক্ষকের সংহতি প্রকাশ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বিভিন্ন বিভাগের ৫১ জন শিক্ষক।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার স্বাক্ষরে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন শিক্ষকরা।
এতে মোট ৮ জন অধ্যাপক, ১৩ জন সহযোগী অধ্যাপক , ২৮ জন সহকারী অধ্যাপক এবং ২ জন প্রভাষক স্বাক্ষর করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: তোফায়েল হোসেন মজুমদার ও রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন বাদে আর কেউ এতে সংহতি প্রকাশ করেননি।
৫১ জন শিক্ষকের সংহতি প্রকাশের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক কোটা সংস্থার আন্দোলন মোকাবিলায় নজিরবিহীন প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনায় হতাশ, মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী নিহতদের সিংহভাগই কমবয়সী ও শিক্ষার্থী এবং ৭৮ শতাংশ নিহতের দেহে প্রাণঘাতী গুলি পাওয়া গেছে (দৈনিক প্রথম আলো, ১৯ জুলাই ও আগস্ট, ২০১৪)। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আন্দোলন ও প্রতিবাদ থামাতে এমন মারণাস্ত্রের ব্যবহার মেনে নেওয়া যায় না। উপরন্তু, যেভাবে নিজ ঘরে অবস্থান করেও মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। সেটি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। আমরা মনে করি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আরও সুশৃঙ্খল ও দায়িত্বশীল আচরণ করতে পারতো।
আমাদের পর্যবেক্ষণ, দাবি পূরণ না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দীর্ঘায়িত হয়েছে। নাশকতা এবং সম্পদ বিনষ্টের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা জড়িত নয় বলেই আমরা বিশ্বাস করি।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, ‘আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে এমন প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যাবহার ও বলপ্রয়োগ অবিলায় বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের হয়রানিমূলক গণগ্রেফতার, নির্যাতন বন্ধ করতে হবে এবং নিরাপদ তদন্তের মাধ্যমে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে দেশের নাগরিকদের গণতন্ত্র অনুশীলনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’