আমার সকল বৈজ্ঞানিক সূত্রের চর্চা, দর্শনের ফালি ফালি চাঁদ
কী করব বলো তো?
এই বিষাদ সময়ে
তোমারে মনে করে
একটু দুঃখ জাগানোর ট্রাইয়ে আছি
দুই একবার ভাবি
কল দিয়ে তোমারে দুইটা গাইল দিয়ে
ঠিক হয় নাই ভাইবা
একটু পাপ দিয়ে মন ভরাব।
ভাবি তোমারে কল দিয়ে বলব
শোনো আমি কিন্তু এখনো তোমার আছি
দ্যান ফট করে কলটা কাইটা
কিছু হবে না আর জীবনে
এমন দুঃখে ঢইলা পড়ব।
আচ্ছা, কল দিয়ে কি তোমার থেকেই আইডিয়া নেব
দুঃখগুলো কিভাবে পাব?
যা নাকি গভীর থেকে চাই, তাই আসে স্বপ্নে
গতকাল মধুমতির বাদাম চর স্বপ্নে দেখছি
দেখি যে কাঁচা বাদাম খাইতেছি
ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তেছে।
মানুষ আমারে নিয়ে হাসতেছে
আর আমি খালি গোছা গোছা বাদাম গাছ উঠাচ্ছি।
কাঁচা বাদামের একটা ঔষধিক স্বাদ আছে
এইটা বিশেষ উপায়ে ভাইরাস ঠেকাচ্ছে
স্পষ্ট অ্যানিমেশন শটে আমি তা দেখতেছি।
কতক পর দেখলাম চর, নদী , ঘাট, ফেরী
সব ফাঁকা হয়ে গেল
আমারে নিয়ে হাসা পাবলিকেরা কি কোয়ারেন্টাইনে গেল?
নাকি এই রোগাক্রান্ত সময়ে
বিপুল প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে
একলা হলাম বাল্যসখা মধুমতির তীরে।
দোটানায় যায় দিন
ঈশ্বর তার প্রভাবের বলয়ে ঘিরে ধরছে আমায়
হৃদয়ের পরতে পরতে হানা দিচ্ছে তার রব
তার বিছানো মাকড়সার জালে আমি এক ক্ষুদ্র কীট
শূন্যে ছুড়ে ফেলছে আমায়, আবার লুফে নিচ্ছে।
আমার সকল বৈজ্ঞানিক সূত্রের চর্চা, দর্শনের ফালি ফালি চাঁদ
সব যেন তার সাজানো পুতুল।
এক হৃদয়হীন অবতার এই ঈশ্বর
সে আমায় জানে, তবু অচেনা পড়ে রয়
আর তার ঘোরে আমার দিন যায়।
তার সান্নিধ্যের আশায়
আমার শরীরে আস্তিকতার রোল নামে
জটিল সময়ে অবিরাম পরিত্রাণের প্রার্থনা চলে।
প্রভু, আমাকে হিস্টিরিয়ায় ফেলে দাও
আমার সকল ইন্দ্রিয়ের স্মৃতি মুছে দিয়ে
তোমার অপূর্ব সোন্দর্যের দেখা দাও
অটল স্থিরতা দাও আমার বিশ্বাসে
যেন সকল দোটানা ভুলে
পড়ে রই তোমার চরণতলে।
তোমাকে তো বলি নাই
বছর পাঁচেক পরে, বছরেরই কোনো দিনে
দুপুরে বনানীর কোনো টঙের দোকানে দাঁড়ায়ে
হয়তো-বা গ্রামের নিশ্চুপ পিচের রাস্তায়
বা কোনো ছুটির দিনের আলসে বিছানায়
মনে পড়বে, হায় তোমাকে তো বলি নাই
পরকীয়াটাও তোমার সাথেই করতে চাই।
তোমাকে তো বলি নাই
মনে রাখার মতো মন নাই আমার
আবার সেই মনেও কত কিছু বিঁধে রয়
কত কিছু ঘষে তুলে ফেলি
তবু কত দাগ গাঢ় হয়।
এ জীবনে আশা নাই, কূল নাই
এমন আমাকেও দেখবা
বড় বড় ঢেউ ডিঙিয়ে সাঁতরে যাই
তোমাকে তো বলি নাই
ভালোবেসে দূরে যেতে পেরেছি ঠিকই
ভুলতে তো কখনো পারি নাই।