করোনাকালের ইউটোপিয়া

  • ফারুক আহমেদ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অলঙ্করণ: আনিসুজ্জামান সোহেল

অলঙ্করণ: আনিসুজ্জামান সোহেল

১.
আমার পাশের ডেস্কে একটা কদম গাছ, তার এক ডেস্ক পরেই একটি নীল অপরাজিতা জয়েন করেছে। দুজনই সদ্য মফস্বল থেকে পাঠ চুকিয়ে মহানগরে এসেছে অনেকদিন স্ট্রাগল করে। স্ট্রাগল—চাকুরি আর নিজেদের অধিকার আদায়ের। চায়ের দোকানে আমরা, আমি আর ট্রাম্প পাশাপাশি বসতে গিয়ে দেখি বেঞ্চের মাঝখানে বসে আছে একটি সবুজ ধানী ব্যাঙ। ‘ভাই একটু চাপেন, আমরা পাশাপাশি বসি।’ উত্তরে ব্যাঙ চায়ের কাপ পাশে রেখে বলে, ভাই আমাকেও নেন, আপনাদের সঙ্গে। এই যে পাশে ওয়ান ব্যাংক, ওই ব্যাংকে জয়েন করেছি দুদিন আগে, ক্যাশে। তারপর মুখ বিস্তৃত করে বলল, একদিন চলেন আমার জলাশয়ে, আড্ডা দেয়া যাবে, ভালো লাগবে আশা করি।

২.
কোথাও কি ঘণ্টা বাজল…
গাবগাছের সঙ্গে সংসার হবে তাহমিনার
হারুনের সঙ্গে লিভটুগেদার করবে জবাফুল;
চেকপোস্টগুলো পাহারা দিবে নীল তিমি
গোয়েন্দা অফিসের সবগুলো বড় পদ
দখলে নিয়ে নিবে খেঁকশেয়াল আর কাক।
খেয়াঘাটে বসে জ্যাঁক দেরিদার চ্যালারা বলবে;
বিনয় অপূর্ব, সে চাঁদের সঙ্গে ভূট্টাকে গুণ করিয়ে
পয়দা করেছে কক্ষপথের; তাই এখন পূর্ব-পশ্চিমের
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠকক্ষে ঢুকে গেছে তার সূত্র।

হৃদয় মাঠে ছিল না আর, ছিল অভাবনীয় মস্তিষ্ক;
মস্তিষ্ক হৃদয়কে অর্ধচন্দ্র দিয়ে পাঠিয়ে দিল দ্বীপান্তরে
যেখানে নীল জল আর গহীন অরণ্যের আকাশ।
মস্তিষ্ক প্রযুক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে যে ভাষা পেল,
যে স্বপ্ন পেল, যে পথ পেল, সে পথ এখন মৃত্যুকূপ।
সুতরাং যে মস্তিষ্ক আহারের জন্য যাবে হৃদয়ের কাছে;
যে মস্তিষ্ক উদ্যানের জন্য যাবে হৃদয়ের কাছে;
সে মস্তিষ্ক নিয়ে চলো আমরা মাঠে ফিরি।

বিজ্ঞাপন