তোমার জন্য এই সাত-পাঁচ চতুরঙ্গ গণিত

  • শতাব্দী জাহিদ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অলঙ্করণ কাব্য কারিম

অলঙ্করণ কাব্য কারিম

ইতি

নামহীন ঠিকানায়, পরিচয়শূন্য কথোপকথন
যুদ্ধের মুখগুলোর ভিড়ে—
এই সমস্ত বিয়োগের রাত-দিন গুণে
রবির আলোতে লেখা বারুদের ইতিহাস
আর রুমালের ভাঁজে গোপনে শুকায়—কাজল।

শূন্যতা

আমি ও আমার মৃত্যু মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
অপেক্ষা করছি—
মৃত্যুর জন্য আমি, আমার জন্য মৃত্যু।
প্রতি মুহূর্তে আমরা একে অন্যের চোখে চোখ রেখে
তাগিদ দিচ্ছি—তোমাকে আমার চাই
কিংবা আমাকে তোমার ভেতরে গুম হতে।

বিজ্ঞাপন

জীবন : ৪

এই ছাপোষা নিয়ম কষে সস্তা জীবনে
তোমার জন্য ফরিয়াদ ছাড়া;
কোনো সত্যতা নেই বঙ্গ অথবা খ্রিস্টাব্দ পঞ্জিকায়।
তবুও মাতাল চোখের কেতুর জানে
ঘুম ভাঙানো রবির সাদা সকাল জানে
শুধু তোমার জন্য বেঁচে থাকা।
শুধু তোমার জন্য এই সাত-পাঁচ চতুরঙ্গ গণিত, বারম্বার মরেও—
কী যেন এক ভুলভাল আঁকা জীবন; এই বেঁচে থাকা।

অন্য আমি

ভিড়, হট্টগোল, প্রেমশূন্য প্রতিধ্বনি বার্ধক্যের জীবনযাত্রায়
ভেব না ঠাওর করিনি
আলোর স্লোগানে আন্ধার মশাল হাতে—
রক্তের ঘাম মুছে মুছে, হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে, থেমে থেমে
ঠিক হারিয়ে বসেছি সূর্যের ছায়ায় পাতা দিক!
যে পথ ভালোবেসে তুমিও ছেড়ে এসেছিলে
ওমের ছকে কষা দিনপঞ্জিকা। 

রাতের নৈবেদ্য গ্লাসে

মাঝে মাঝে বড় একা হয়ে যাই গ্রামহীন
ঘাসের মতো
সন্তানহীন মায়ের মতো
জলহীন কান্নার মতো
বোতামহীন শার্টের সেলাইয়ের মতো, শূন্য উঠানের মতো।

কেউ না জানুক আমি জানি রবীন্দ্রনাথও ঠিক
রাজার পোশাকে কবিতার ভিখারি।