গরু পুষে সচ্ছল গাইবান্ধার চরাঞ্চলবাসী

  • তোফায়েল হোসেন জাকির, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

উত্তর জনপদের নদী বেষ্টিত জেলা গাইবান্ধা। এ জেলার ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, যমুনা, করতোয়া নদ-নদীর বুকে জেগে উঠেছে দেড় শতাধিক বালুচর। এসব চরাঞ্চলে বসবাস করছেন লক্ষাধিক পরিবার। আর এই পরিবারগুলোর প্রধান আয়ের উৎস হচ্ছে গবাদি পশু পালন। গবাদীপশু পালন করে সচ্ছলতাও ফিরেছে চরাঞ্চলবাসীর।

শুক্রবার (৬ মার্চ) সরেজমিনে দেখা যায়, গাইবান্ধার জেলার এরেণ্ডাবাড়ী, কড়াইবাড়ী, হরিপুর, তারাপুর ও কালুরপাড়া চরে বসবাসকারী প্রতিটি পরিবারই গরু লালন-পালন করছে।

বিজ্ঞাপন

চরাঞ্চলবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মৌসুমে জেগে ওঠা চরে ভুট্টা, মরিচ, বাদাম ও মিষ্টি কুমড়াসহ নানা জাতের ফসলের আবাদ করেন তারা। এসময় গরু-বাছুর পালন করে সচ্ছলতা ফিরছে পরিবারে। এছাড়া চরাঞ্চলে রয়েছে অসংখ্য কাঁশবনসহ পরিত্যক্ত ভূমি। চরের পরিত্যাক্ত জমিতে গরুকে ঘাস-লতা-পাতাও খাওয়াতে পারেন তারা। এতে অল্প খরচে প্রতি বছর গরু বিক্রি করে লাখ টাকা আয় করেন তারা।

প্রত্যেকটি বাড়িতে রয়েছে ৫ থেকে ১০টি গরু

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখানকার প্রত্যেকটি বাড়িতে রয়েছে ৫ থেকে ১০টি গরু-বাছুর। এসব গৃহপালিত পশু যেন তাদের আর্শিবাদ স্বরূপ।

কড়াইবাড়ী চরের লোকমান আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, দীর্ঘ একযুগ ধরে গরু পালন কর আসছেন। বর্তমান তার বাড়িতে বাছুরসহ ১০টি গরু। এর মধ্যে রয়েছে ৪টি গাভী। এসব গাভীর প্রজনন থেকে বাড়তে থাকে তার গরুর সংখ্যা।

তিনি আরও বলেন, দুধ বিক্রি ও গরু বিক্রি করে বছরে প্রায় লক্ষাধিক টাকা লাভ হয় তার। এটি তার প্রধান আয়ের উৎস।

এরেণ্ডাবাড়ী চরের বাসিন্দা জমির উদ্দিন ব্যাপারি বলেন, আমার বাড়িতে ৮টি গরু রয়েছে। এর মধ্য দুগ্ধগাভীর দুধ বাজারে বিক্রি ও অন্যসব গরুগুলো মোটাতাজা করে বিক্রি করা হয়।

গাইবান্ধা জেলা প্রাণীসম্পদ কমকর্তা আব্দুস সামাদ বার্তা২৪.কমকে জানান, চরাঞ্চলের মানুষরা গৃহপালিত গবাদীপশু লালন-পালন করে অনেকটাই স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাদের আরও লাভবান করতে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।