সংরক্ষিত বনের গাছ কর্তন, অভিযুক্ত আ'লীগ নেতা
বরগুনার তালতলীতে সংরক্ষিত বন থেকে ২২টি কেওড়া গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে বন বিভাগের একটি দল অভিযান চালিয়ে কাটা গাছগুলো জব্দ করে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ সদাগার পাড়া এলাকার ওয়াপদা সড়কের পাশ থেকে বন বিভাগের লোকজন এ গাছ জব্দ করে।
স্থানীয় বন বিভাগের সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কালাম মীর ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই সরকারি বনের গাছগুলো কাটেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে বন বিভাগ ২২টি কেওড়া গাছ উদ্ধার করে। কাটা গাছগুলোর কিছু গাছ স্থানীয় ছগির চৌকিদারের স্ত্রী রেনু বেগমের বাড়ির সামনে স্তূপ করে রাখা অবস্থায় উদ্ধার হয়। আর কিছু গাছ ঘটনাস্থলেই পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বিট কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কালাম মীরের বিরুদ্ধে বনের ভেতর থেকে বিভিন্ন সময়ে কেওড়াসহ অনেক প্রজাতির গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কালাম বিভিন্ন সময় গাছ কেটে নিলেও এলাকাবাসী ভয়ে কিছু বলতে পারতো না। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কালাম মীর বলেন, ‘বনের কিছু ভেঙে পড়া গাছ কেটে আনা হয়েছে। বন বিভাগের দোষ এড়াতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন।’
তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তা নয়ন মিত্র বলেন, ‘বনের কেওড়া গাছগুলো জব্দ করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত সেলিম মিঞা বলেন, ‘বনের কোনো গাছ কাটা যাবে না। বিষয়টি আমি শুনেছি এবং বন বিভাগকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।’