হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি শামীম আহমেদ মামুনকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ভোরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামুন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাতাসর গ্রামের মকসুদ আলীর ছেলে।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হক বিকেলে বার্তা২৪.কমকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মামুনকে তার এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
মামলার অন্য চার আসামি হলেন-হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হাতির থান গ্রামের মৃত রমিজ আলীর ছেলে অটোরিকশা চালক আক্কাছ আলী (২০), বানিয়াচং উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হান্নানের ছেলে ফজলুর রহমান (২৪), নবীগঞ্জ উপজেলার কায়স্থ গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে আলী হোসেন (২৪) ও চুনারুঘাট উপজেলার বনগাঁও গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে জুনেদ লতিফ (২৭)।
এর আগে বুধবার ওই কলেজছাত্রী নিজে বাদী হয়ে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা এফআইআরভুক্ত করে তদন্তের জন্য চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রধান আসামি মামুনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ৭ জানুয়ারি দুপুর ১টার দিকে ওই কলেজছাত্রীর মোবাইল নম্বরে কল করে মামুন তাকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। পরে কলেজ থেকে তিনি বের হয়ে মামুনের সঙ্গে অটোরিকশায় সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে যান। সেখানে মামুন প্রথমে তাকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে ফজলুর, আলী ও জুনেদসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুইজন তাকে র্ধষণ করেন। এসময় অটোরিকশাচালক আক্কাছ জঙ্গলের বাইরে থেকে তাদের পাহারা দিচ্ছিলেন। গণধর্ষণের পর অসুস্থ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা। পরে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন এবং তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেন।