শীতে কাহিল তিস্তা-ধরলার ৬৮ চরের বাসিন্দারা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে মানুষ, ছবি: বার্তা২৪.কম

খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে মানুষ, ছবি: বার্তা২৪.কম

কনকনে শীত আর হিমেল হাওয়ায় লালমনিরহাটের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত ৫ দিন ধরে সীমান্তবর্তী এই জেলায় সূর্যের দেখা মেলেনি। শীতে কাহিল তিস্তা ও ধরলার ৬৮টি চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে কুয়াশার পাশাপাশি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হচ্ছে। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

জেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে তেমন দোকান-পাট খুলেনি। লোকজনের চলাচলও স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম। তারপরও পেটের টানে কিছু শ্রমিক ঘর থেকে বেরিয়েছে। শীতের পোশাক না থাকায় নিম্ন আয়ের অনেকেই পড়েছে বিপাকে। এতে তিস্তা তীরবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। লালমনিরহাট সদরসহ জেলার ৬টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগে ভর্তি আছে ১৫ জন।

তিস্তা এলাকার শরিফ মিয়া বার্তা২৪.কমকে জানান, গত ৫ দিন ধরে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। যার ফলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এই শীতে কাজকর্ম করতে না পেরে ঘরে বসে দিন কাটাচ্ছেন। শীতে অনেক কষ্ট পাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বার্তা২৪.কমকে জানান, জেলার ৫টি উপজেলায় তালিকা করে বরাদ্দকৃত ২৮ হাজার ৭শ কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে।