বালুর নিচে লুকিয়ে রয়েছে কৃষকের 'গুপ্তধন'

  • তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বালু চরে কৃষকদের বাদাম চাষ, ছবি: বার্তা২৪.কম

বালু চরে কৃষকদের বাদাম চাষ, ছবি: বার্তা২৪.কম

উত্তর জনপদের নদীবেষ্টিত জেলা গাইবান্ধা। প্রতিবছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হন এ জেলার নদী তীরবর্তী মানুষ। আর তাদের ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করে নদ-নদীতে জেগে ওঠা বালুচরে বাদামের আবাদ। এ বছরও বালুর নিচে লুকিয়ে রয়েছে বাদাম চাষির স্বপ্ন।

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর জেলার ফুলছড়ি উপজেলার নদীর তীরে জেগে উঠেছে খাটিয়ামারী, এরেন্ডাবাড়ী জিগাবাড়ী, হরিচন্ডি, বুলবুলি, জিয়াডাঙ্গা ও গুপ্তমনি চরসহ অসংখ্য চরাঞ্চল।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২২ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকা ও চরাঞ্চলে কৃষকরা কিছুদিন আগে বাদামের চাষ শুরু করেন। এই ক্ষেতগুলো এখন গাঢ় সবুজের বিপ্লবে পরিণত হয়েছে। কৃষকদের বাদাম চাষে এবার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ যেন বালুর নিচে লুকিয়ে থাকা গুপ্তধন।

গুপ্তমনির চরের কৃষক এন্তাজ আলী বলেন, এই এলাকার চরগুলোতে যেসব ফসল উৎপাদন করা হয়, এর মধ্যে বাদাম চাষ অত্যন্ত লাভজনক ফসল। এই আবাদে তেমন কোনো খরচ নেই। শুধু বীজ বপন ও পরিপক্ব হলে তুলতে কিছু খরচ হয়। এছাড়া কোনো ওষুধ কিংবা পরিচর্যা করার প্রয়োজন হয় না।

হরিচন্ডি চরের কৃষক লিয়াকত আলী জানান, এবারে ৭ বিঘা জমিতে (বালুচরে) বাদাম আবাদ করেছেন। বিঘাপ্রতি খরচ হয় ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা। যা থেকে প্রায় ২০ থেকে ২২ মণ বাদাম উৎপাদন করা সম্ভব। বাজারে দাম ভালো থাকলে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করা যায়।

ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার ফাতেমা কাওসার মিশু বার্তা২৪.কমকে জানান, চরাঞ্চলের বাদাম চাষিদের লাভবান করতে তাদেরকে নানাভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে অধিক ফসল পান তারা।