রাঙামাটিতে বুদ্ধিজীবী দিবসে অনুপস্থিত এক-তৃতীয়াংশ সরকারি কর্মকর্তা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বুদ্ধিজীবী দিবসে আলোচনা সভার আয়জন করা হয়/ছবি: বার্তা২৪.কম

বুদ্ধিজীবী দিবসে আলোচনা সভার আয়জন করা হয়/ছবি: বার্তা২৪.কম

বাঙালির জাতীয় জীবনে অনেকগুলো শোকাবহ দিনের মধ্যে অন্যতম হলো শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দিনটি যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালনের জন্য সারাদেশে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা দেন সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির সূর্য সন্তানদের স্মরণে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। যথারীতি সময় অনুযায়ী শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে দশটা থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে নির্মিত শহীদ আব্দুল আলী মঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হলেও সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির সরকারি ও আধা সরকারি অফিসের এক তৃতীয়াংশ কর্মকর্তা।

এ নিয়ে আলোচকদের প্রায় সবাই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞাপন

জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় পুলিশ সুপার আলমগীর কবির-পিপিএম বলেন, আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিন বাঙালি জাতির জন্য বর্বরোচিত একটি অধ্যায়।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, আজকে এই অনুষ্ঠানে আমরা যারা উপস্থিত হয়েছি, সেই সংখ্যাটা আসলেই নগণ্য। এটাকে কী বলবো...কর্মব্যস্ততা, উদাসীনতা নাকি অবহেলা। যাদের জন্য বিজয় পেয়েছি তাদের জন্য মাত্র আধা ঘণ্টা সময় আমরা খরচ করতে চাইনা,অথচ টেলিভিশন-ফেসবুকে আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় করছি।

একটু আত্ম জিজ্ঞাসার প্রয়োজন রয়েছে মন্তব্য করে আলমগীর কবির বলেন, এই রাঙামাটিতে অনেকগুলো ডিপার্টমেন্ট আছে, আমরা সেসকল অফিসগুলোর প্রধানকে চাইনি, একজন প্রতিনিধি থাকলেইতো হতো। দুঃখ প্রকাশ করে পুলিশ সুপার বলেন, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে তো আর দেশপ্রেম তৈরি করা যায় না।

অপরদিকে আলোচনা সভার সঞ্চালক অফিসার মুজিবুল হক বুলবুল ও সভাপতি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।

দেশকে মেধাশূন্য করতে ইতিহাসের নির্মমতম হত্যাযজ্ঞ সম্পর্কে আলোচনা করে নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদান ও রীতিনুসারে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনার লক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১৪ ডিসেম্বর এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। দিবসটি পালনে সরকারি নির্দেশনা অনুসারে সরকারি-বেসরকারি প্রায় সকল অফিসগুলোতে চিঠিও দিয়েছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক।