পদ্মা সেতুতে বসলো ১৭তম স্প্যান, ২৫৫০ মিটার দৃশ্যমান

  • ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মুন্সীগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পদ্মা সেতুতে বসলো ১৭তম স্প্যান

পদ্মা সেতুতে বসলো ১৭তম স্প্যান

পদ্মা সেতুর ১৬তম স্প্যান বসানোর ৮ দিনের মাথায় আজ (মঙ্গলবার) যুক্ত হলো ১৭তম স্প্যান। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ২টা ১৫মিনিটের দিকে সেতুর জাজিরা প্রান্তে পিয়ার ২২ ও ২৩ এ ১৫০মিটার দৈর্ঘ্যের ১৭তম স্প্যানটি বসানো হয়। এতে দৃশ্যমান হলো সেতুর প্রায় ২৫৫০মিটার । পদ্মা সেতুর প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকেই শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের ১৭তম স্প্যানটি বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়। ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ক্রেন ‘তিয়ান ই’ এর মাধ্যমে স্প্যান ফোর-ডি পিয়ারের ওপর বসাতে সময় লাগে প্রায় আড়াই ঘণ্টা।

বিজ্ঞাপন

সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, ১৭তম স্প্যান ছাড়াও আরও ৬টি স্প্যান প্রস্তুত রয়েছে। পর্যায়ক্রমে একের পর এক স্প্যান সেতুর পিয়ারে উঠানো হবে। একসঙ্গে এগিয়ে চলছে রোডওয়ে ও রেলওয়ের কাজ। সেতুতে রোডওয়ে স্ল্যাব বসবে ২ হাজার ৯৩১টি।

বসানো হচ্ছে পদ্মা সেতুর ১৭তম স্প্যান
 

এদিকে ডিসেম্বরের ১ম সপ্তাহে সেতুর ১৮তম স্প্যান বসানো হতে পারে বলে জানিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকৌশলী।

সর্বশেষ গত ১৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুর ১টার দিকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ১৬তম স্প্যান (৩ডি) ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে। সে সময় সেতুর ২৪০০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিয়ারে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয়েছে ১৬টি স্প্যান। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে।

২০০৭ সালে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পটির যাত্রা শুরু হয়। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ওই বছরের ২৮ আগস্ট ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছিল। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এসে রেলপথ সংযুক্ত করে ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি প্রথম দফায় সেতুর ব্যয় সংশোধন করে। বর্তমান ব্যয় ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। মূল সেতু নির্মাণে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। আর নদী শাসনের কাজ করছে চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন। দুই প্রান্তে টোল প্লাজা, সংযোগ সড়ক, অবকাঠামো নির্মাণ করছে দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।