পুরোনো শীতবস্ত্রের নতুন বাজার
আসি আসি করছে শীত। শীতের এই আমেজে গরম কাপড়ের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। নতুন কাপড়ের পাশাপাশি কুষ্টিয়ায় পুরোনো ও তুলনামূলক একটু কমদামি কাপড়ের দোকানের দিকে ক্রেতারা বেশি ঝুঁকছেন।
জেলার ৬টি উপজেলায় বিভিন্ন মার্কেট ও ফুটপাতে শীতের পোশাক বেচা-কেনা ভালোভাবেই শুরু হয়েছে। দোকানিরা জানিয়েছেন, শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়বে বেচা-কেনা।
নতুন কাপড়ের দাম একটু বেশি থাকায়, শীত নিবারণের জন্য নিম্ন আয়ের মানুষ কম মূল্যের কাপড় কেনার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও ফুটপাত ঘুরে দেখা যায়, দোকানিরা কম মূল্যের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। সেখান থেকেই বাছাই করে ভালো পোশাকটি কিনছেন ক্রেতারা। অস্থায়ীভাবে বসা দোকানগুলোতে স্বল্পমূল্যে পাওয়া যাচ্ছে সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, কোর্ট, প্যান্ট ও কানটুপিসহ বিভিন্ন ধরনের শীতবস্ত্র।
কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোডের বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটের সামনে, পাবলিক লাইব্রেরি মাঠের সামনে এবং বিভিন্ন সড়কের পাশে পুরোনো কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। এ সব কাপড় ব্যবসায়ীরা ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আমদানি করে বিক্রি করছেন।
শহরের বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটের সামনের ফুটপাতে অন্তত ২০টি শীতের পোশাকের দোকান। দোকানগুলোতে ২০ টাকা থেকে শুরু করে ২শ টাকায় মিলছে গরম কাপড়।
ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা চট্টগ্রাম থেকে এসব শীতের কাপড় নিয়ে আসি। গত বছর থেকে এবার একটু দাম বেশি।
বেচা-বিক্রি কেমন জানতে চাইলে ব্যবসায়ী রিপন আলী জানান, এখনো তেমন শীত পড়েনি। তবুও ক্রেতারা আসছেন, দেখছেন এবং পছন্দ হলেই কেবল সেটি কিনছেন। তবে শীতের তীব্রতা বাড়লে ক্রেতাও বাড়বে।
নাসির উদ্দিন নামের এক ক্রেতা জানান, ফুটপাত থেকেও ভালো ভালো শীতের পোশাক পাওয়া যায়। তাই এখান থেকে কিনতে এসেছি। পছন্দ করে তিনটা শীতের পোশাক কিনেছি।
লোকমান হোসেন বাঘা নামের এক ব্যক্তি জানান, আমরা দিন আনি দিন খাই। শীতের সময় নতুন পোশাক কিনতে গেলে অনেক টাকা লাগবে। তাই পুরোনো দোকান থেকে পছন্দমতো কয়েকটা পোশাক কিনে নিলাম।