ধর্মঘটে ভরসা অবৈধ যান

  • নিয়াজ আহমেদ সিপন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়িন্টিফোর.কম, লালমনিরহাট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটে পরিবহন ধর্মঘট

লালমনিরহাটে পরিবহন ধর্মঘট

নতুন সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাতিলসহ ৯ দফা দাবিতে সারাদেশের মতো লালমনিরহাটেও পরিবহন ধর্মঘট চলছে। উপায় না দেখে যাত্রীরা ভ্যান বা রিকশায় উঠলেও কোথাও কোথাও পরিবহন শ্রমিকরা তাদের নামিয়েও দিয়েছে। ফলে রাস্তায় বের হওয়া সাধারণ জনগণকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও জনসাধারণ এসব যানবাহনে চলাচল করছেন।

বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেন শ্রমিকরা। যে কারণে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে ট্রাক-বাস দেখা যায়নি। এই সুযোগে মহাসড়ক দখল করে নিয়েছে অটোরিকশা-সিএনজি-লেগুনা ও ভ্যান।

বিজ্ঞাপন

বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, গন্তব্যে পৌঁছাতে মহাসড়কের পাশে যাত্রীরা দাঁড়িয়ে আছেন, কিন্তু বাস নেই। যে যেভাবে পারছেন, অটোরিকশা-ভ্যান-সিএনজি অথবা পায়ে হেঁটে গন্তব্যস্থলে ছুটছেন। এতেই সিএনজিচালিত অটোরিকশা পাওয়া গেলেও চালকরা কয়েকগুণ বেশি ভাড়া নিচ্ছেন। রিকশাচালকরাও দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছেন। তবে ভ্যানেই মানুষকে চলাচল করতে বেশি দেখা গেছে। সকল ধরনের বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে।

 লালমনিরহাটে পরিবহন ধর্মঘট 

এদিকে, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় গাদাগাদি করে পুরুষদের ওঠা সম্ভব হলেও শিশু ও নারীদের তা খুবই কষ্টকর। পণ্যবাহী ওই যানগুলোতে বসার আসন না থাকায় কোনো কোনো চালক যাত্রীদের সুবিধার্থে অস্থায়ী বেঞ্চ পেতে দিলেও বেশির ভাগ যাত্রী গাড়িতে দাঁড়িয়ে যাতায়াত করছেন। 

পাটগ্রাম থেকে আসা আলম মিয়া (৬৫) জানান, পাটগ্রাম থেকে ট্রেনে লালমনিরহাট শহরে এসেছি, ঢাকায় যাবো। কিন্তু এই অবরোধের কথা আমি জানতাম না। রাস্তায় এসেই তো বিপদে পড়েছি। অনেক কষ্ট করে ভ্যানে চড়ে এখন আবার বাড়িতে যেতে হবে।

লালমনিরহাটে পরিবহন ধর্মঘট 

লালমনিরহাট বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আইনটি সংশোধনে দাবিতে শ্রমিকরা নিজেরাই বাস চালানো বন্ধ রেখেছেন। ঢাকাগামী নাইট কোচ রাতে যাওয়ার কথা থাকলেও ঢাকা উদ্দেশ্যে কোনো বাস যাবে না। 

লালমনিরহাট জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সিরাজুল হক বার্তাটোয়িন্টিফোর.কম-কে বলেন, জেলা ত্যাগের পর বাসগুলো রংপুর, বগুড়া বা টাঙ্গাইলে আটকে যাচ্ছে। ঢাকার বৈঠকের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে কবে থেকে এসব গাড়ি চলাচল করবে।