প্রক্সি দিতে এসে আট শিক্ষার্থী আটক

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

চলমান এবতেদায়ী সমাপনীর বাংলা পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে আসায় আট ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে অবশ্য মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

সেমবার (১৮ নভেম্বর) নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার উত্তর দেশীবাই নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনাটি ঘটে।

বিজ্ঞাপন

আটকরা শিক্ষার্থীরা হলো- তানিয়া, আইরিন, মুরাদ, বাবু, আজিম ইসলাম, তারিকুল ইসলাম, সিয়াম রাব্বি ও লিমন। এরা সবাই এক শিক্ষকের প্রলোভনে ২০০ টাকা করে চুক্তির ভিত্তিতে পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসেছিল।

জানা গেছে, সোমবার চলমান পিইসি ও এবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে পরীক্ষা চলছিল। এতে উত্তর দেশীবাই নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ওই আটজন শিক্ষার্থী অন্যের হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়। গোপন সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর দায়িত্বরত কর্মকর্তা তাদের আটক করেন। তারা উত্তর দেশীবাই ইসলামিয়া কছিমিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদরাসার হয়ে প্রক্সি দিতে আসে।

এদিকে আটক শিক্ষার্থীদের দাবি, মাদরাসার ফলাফল ভালো করতে ওই মাদরাসা শিক্ষক অলিয়ার রহমান তাদেরকে পরীক্ষায় অংশ নিতে বলেন। বিনিময়ে অলিয়ার রহমান প্রত্যেককে দুইশ করে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্র সচিব নজমুল হক বলেন, ‘বিকাল পর্যন্ত আটক শিক্ষার্থীদের কোনো অভিভাবক না আসায় তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কাঁঠালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন তুহিনের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।’

যাদের হয়ে এসব শিক্ষার্থী প্রক্সি দিতে এসেছিল, তাদের পরবর্তী পরীক্ষা দেবার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, জলঢাকা উপজেলাতে ১৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আট হাজার ২৯০ জন ও এবতেদায়ি সমাপনীতে এক হাজার ৪৬৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।