‘অনুপস্থিত দেখিয়ে আমি কি মাইর খাব’

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নীলফামারী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষক নাঈম শাহারিয়ার। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

শিক্ষক নাঈম শাহারিয়ার। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

'ওনাকে অনুপস্থিত দেখিয়ে আমি কি মাইর খাব? এটা উপরের সবাই জানে। আমাদের বসরা কিছু করে না, আর আমি কি করব?'

নীলফামারী সদর উপজেলার ২ নং নতিব চাপড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (প্রাক) নাঈম শাহারিয়ার গত ১০ কার্যদিবস ধরে কোনো ছুটি না নেয়া ছাড়াই ক্লাসে আসছেন না। কিন্তু এতে তাকে অনুপস্থিত না দেখানোর কারণ জানতে চাইলে এসব কথা বলেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল শাফি।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার (সহ-উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার) আদেশ আছে তাকে অনুপস্থিত না দেখানোর জন্য।’

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ২টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সহকারী শিক্ষক নাঈম শাহারিয়ার ও সহকারী শিক্ষিকা লতা রায় বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। সন্তানের চিকিৎসার জন্য বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে পারেননি লতা রায়। তবে নাঈম শাহারিয়ার গত ২৪ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর মোট ১০ কার্যদিবস ধরে অনুপস্থিত রয়েছেন।

শিক্ষক হাজিরা খাতা। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষিকা নারগিস সুলতানা বলেন, ‘ওনার (নাঈম শাহারিয়ার) স্কুলে আসা না আসার ব্যাপারটা সবাই জানে। মূলত ওনার ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর বিষয়টা নির্ভর করে।'

দপ্তরি-কাম নৈশ প্রহরী হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘স্যার (নাঈম শাহারিয়ার) সাত দিন, দশ দিন, পনেরো দিন পরপর এসে সই করে চলে যায়।'

অনুপস্থিত না দেখানোর নির্দেশ দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা সহ-প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মাহাতাবুর রহমান বলেন, ‘আমি যতদিন ওই স্কুলে গিয়েছি নাঈম শাহারিয়ারকে পেয়েছি। আমার তো প্রতিদিন একই স্কুলে যাওয়া সম্ভব নয়।’

অনুপস্থিত থাকার কারণ জানতে চেয়ে মোবাইলে যোগাযোগ করলে স্কুলে আসছি বলে লাইন কেটে দেন সহকারী শিক্ষিক নাঈম শাহারিয়ার।

এ ব্যাপারে নীলফামারী সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ এনামুল হক সরকার বলেন, ‘নাঈম শাহারিয়ারের অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি এখনো প্রধান শিক্ষক আমাকে জানাননি। তবে তদন্ত করে নাঈম শাহারিয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’