তালতলীতে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনকে আদালতের শোকজ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম,বরগুনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনা জেলার মানচিত্র

বরগুনা জেলার মানচিত্র

বরগুনার তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজির হোসেন কালু পাটোয়ারীসহ ১৩ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৪ নভেম্বর) তাদের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেন আমতলী নির্বাহী আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন।

বিজ্ঞাপন

জানাগেছে, ২০১৭ সালে তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের কলারং গ্রামের গৌতম সাজ্জালের মেয়ে মিতালী রানীর আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের বাবুল মৌয়ালির ছেলে শ্যামল মৌয়ালির সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাসের মাথায় স্বামী শ্যামল স্ত্রী মিতালীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্যাতন চালায়। স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির অপবাদ ও নির্যাতন সইতে না পেয়ে বাবার বাড়ি চলে যায় মিতালী। এ বিষয় নিয়ে স্বামী শ্যামল পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ দেয়। ওই অভিযোগের বিষয়ে কোনো শালিস ব্যবস্থা হয়নি। কিন্তু চেয়ারম্যান মিথ্যা সালিশ বৈঠকের নাম করে স্ত্রী মিতালীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ এনে স্বামী শ্যালমের পক্ষে একটি রায় দেন। এ মিথ্যা রায়ের কারণে মিতালীর সামাজিকভাবে মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

পরে সোমবার (৪ নভেম্বর) এ ঘটনায় মিতালী বাদী হয়ে পঁচাকোড়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নজির হোসেন কালু পাটোয়ারী ও ইউপি সদস্য বাবুল ভুইয়াসহ ১৩ জনের নামে আমতলী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মনিরা পারভীন মামলাটি আমলে নিয়ে চেয়ারম্যানসহ সকল আসামিদের আগামী ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি আদালতে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর জবাব দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার বাদী মিতালী রানী বলেন, ‘সালিশ ব্যবস্থা না করে ইউপি চেয়ারম্যান আমার স্বামী শ্যামলের পক্ষের লোকজনের কথায় আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে একটি রায় দিয়েছেন। যাতে সামাজিকভাবে আমার মান যথেষ্ট ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আমি এর প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করেছি। আমি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই।'

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজির হোসেন কালু পাটোয়ারীর মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।