কুরিয়ারে যাচ্ছে আবরারের বইপত্র ও জামা-কাপড়
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হলে থাকা বইপত্র ও জামা-কাপড়সহ সবকিছু পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ও তার ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ এসব জিনিসপত্র বুঝে নেন।
পরে সেগুলো বস্তায় ভরে একটি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কুষ্টিয়ায় পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ।
তিনি বুধবার সন্ধ্যায় বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ সকালে আমি আর বাবা বুয়েটে এসে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারপর তারা রুম খুলে দিলে ভাইয়ার বইপত্র ও তার ব্যবহৃত জামাকাপড়গুলো নিয়ে বস্তায় ভরে নিয়েছি। সেগুলো আবার কুরিয়ার করে কুষ্টিয়ার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। যা আগামীকাল বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের বাড়িতে পৌঁছাবে বলেও জানান তিনি। তবে কোন কুরিয়ারে এসব কুষ্টিয়া যাচ্ছে তা বলতে রাজি হননি তিনি।
আবরার ফায়াজ বলেন, ‘বড় ভাইয়ের এমন মৃত্যুতে পুরো পরিবার মুষড়ে পড়েছে। বাবা-মা চান না আমি তাদের ছেড়ে থাকি। তাই ঢাকা কলেজ ছেড়ে আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছি। তবে ভাইয়ার সঙ্গে কোন সুখকর স্মৃতি আছে কিনা জানতে চাইলে কেঁদে ওঠেন।
প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ৫ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসের জেরে আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তার সহপাঠিরা।
এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।