ইলিশ শিকারে প্রস্তুতি নিচ্ছে উপকূলের জেলেরা
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আগামীকাল ৩০ অক্টোবর রাত ১২টার পর থেকে ইলিশ শিকার করতে পারবে জেলেরা। আর এরই মাঝে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বরগুনা উপকূলের প্রায় এক লাখ জেলে।
গত ২২ দিন অভাব-অনাটনের মধ্যে দিন কেটেছে উপকূলের জেলে পরিবারগুলোর। নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ শিকার না করে দীর্ঘ ২২ দিন অলস সময় কাটিয়েছে জেলেরা।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকে বরগুনারসহ জেলার বিভিন্ন ঘাট থেকে মাছ শিকারের উদ্দেশে সাগরে যাত্রা শুরু করবে জেলেরা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, জেলেদের মধ্যে লেগে গেছে মহাব্যস্ততা। বাজারসহ আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন শেষ, সকাল হলেই তারা ট্রলারে বরফ ভরে সাগরে যাত্রা শুরু করবে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) তালতলীর ফকিরহাট ও পাথরঘাটায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জেলেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন । নিষেধাজ্ঞার শেষ দিনে জেলেরা নিজ নিজ ট্রলারে জাল ও মাছ শিকারের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিচ্ছে। ট্রলারে বরফ নিয়ে সংরক্ষণ করে রাখছে। ধার-দেনা করে স্থানীয় মুদি দোকান থেকে চাল, ডাল ও তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এদিকে এতদিন পরে সাগরে ও নদীতে ইলিশ শিকার করতে পারবে এতে জেলে পল্লীগুলোতে আনন্দের হাওয়া বইতে শুরু করেছে।
পল্লির ফজলু, আলী, টুকু ও দেলোয়ারসহ একাধিক জেলে বলেন, দীর্ঘ ২২দিন পরে সাগরে ইলিশ শিকারে যাবে। এজন্য যাবতীয় বাজার সদায় করে ট্রলারে রাখা হয়েছে। এই ২২ দিন খুব কষ্টে ও ধার-দেনা করে চলতে হয়েছে তাদের।
ফকিরহাট ট্রলার মালিক মজিবর রহমান ফরাজী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, খুব কষ্ট করে ট্রলারে শ্রমিকদের ৭ দিনের যাবতীয় বাজার করে দিয়েছি। আগামীকাল রাতে সাগরে আমার দুইটি ট্রলার যাবে।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মস্তফা চৌধুরী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে উপকূলের প্রায় ১ লাখ জেলে মাছ ধরতে সাগরে যাওয়ার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আগামীকাল রাত পোহালেই সাগরে যাত্রা করবে ট্রলারগুলো।