‘তুফান আসলে ভয় নাগে’

  • তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম গাইবান্ধা:
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

টিনের ছাপরা ঘরে স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন জামিনা বেগম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

টিনের ছাপরা ঘরে স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন জামিনা বেগম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বুড়া মানুষ সারাদিন মানষের বাড়িত কাম করি। আতে (রাতে) ঘরত আসলে যে একটু শান্তিতে ঘুমামো তাও উপায় নাই বাহে। আতোত (রাতে) চিন্তায় থাকি একন বুজিল তুফান আসলো। আর তুফান আসলেই ভয় নাগে। ঘরটা না ভাঙ্গি যায়।

কথাগুলো বলছিলেন গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের হাসানপাড়া গ্রামের ছলিম উদ্দিনের স্ত্রী জামিনা বেগম।

বিজ্ঞাপন

৬৬ বছর বয়সী জামিনার নিজের তিন শতক জমি থাকলেও, নেই বসবাস উপযোগী ঘর। ছোট্ট একটা টিনের ছাপরা ঘরে স্বামী ও এক সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দা সাগর আকন্দ বলেন, ‘জামিনার জীবনটা অনেক কষ্টের। মহিলার স্বামীটা বয়সের ভারে নুহ্য হয়ে পড়েছে। কোনো কাজ কাম করতে পারে না। আর ছেলেটা প্রতিবন্ধী। মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাম করে জামিনা বেগমই তিনজনের এই সংসারটা চালায়। সরকারের কাছে দাবি করতাছি তারে যেন একটা ঘর তৈরি করে দেয়।’

তিন শতক জমি থাকলেও, জামিনার নেই বসবাস উপযোগী ঘর, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম


জামিনা বেগম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘শুনছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘জমি আছে, ঘর নাই’ এমন লোকজনরে বাড়ি তৈরি করে দিতিছে। হামার যদি একটা ঘর বানেয়া দিত মন ভরি দোয়া করে দিতাম।’

ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। দেখি কিছু করা যায় কিনা।’