‘শিক্ষাঙ্গনে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করতে হবে’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কুষ্টিয়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আবরার ফাহাদের মায়ের সঙ্গে কথা বলছেন সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

আবরার ফাহাদের মায়ের সঙ্গে কথা বলছেন সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করতে হবে শিক্ষাঙ্গনে। কারণ রাজনৈতিক এসব দুর্বৃত্তায়ন শিক্ষাঙ্গনে মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রাণ অকালে কেড়ে নেয়।’

সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিছু ছাত্র বা সংগঠন ছাত্র রাজনীতির নামে যা করছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আর এটা সম্ভব হচ্ছে ছাত্র সংগঠনগুলোর বড় ভাই নামধারী গডফাদারদের ছায়াতলে। এসব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

এ সময় আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে কীভাবে বা কেন বুয়েটে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম? বুয়েটে তার লেখাপড়ার সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল বলে মনে হয়। আমার ছেলেকে যদি বুয়েটে ভর্তি না করতাম তাহলে আমার বুকটা খালি হতো না। আমাদের সুখের পরিবারে এভাবে দুঃখ নেমে আসত না।’

প্রত্যুত্তরে, বদিউল আলম বলেন, ‘আপনাদের নেওয়া সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না। কারণ আপনারা চেয়েছেন, আপনাদের মেধাবী সন্তান ভালোভাবে পড়ালেখা করে দেশের জন্য কিছু করুক। কিন্তু এটা যে কোনো প্রতিষ্ঠানেই হতে পারত। দেশের প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চিত্র একই।’

এ সময় তার সঙ্গে সুজনের কুষ্টিয়া জেলা কমিটির সভাপতি ইফতেখার হোসেন মিঠু, সম্পাদক আসিফ ইকবাল এবং আবরারের খালাসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজন উপস্থিত ছিলেন। তবে সে সময় আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ ও ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ বাসায় ছিলেন না।

প্রসঙ্গত, ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২য় বর্ষ ও শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরার ফাহাদকে ওই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী।