লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত গাইবান্ধার কারিগররা

  • ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, তোফায়েল হোসেন জাকির, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোষকের কারিগররা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোষকের কারিগররা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

সকালে ঘাসের ডগায় শিশির ভেজা মুক্তকণা জানান দিচ্ছে শীতের। শীত জেঁকে বসার আগেই গাইবান্ধায় লেপ-তোষক তৈরির ধুম লেগেছে। ক্রেতারা ভিড় জমাতে শুরু করেছেন লেপ-তোষকের দোকানে। আর তাই লেপ-তোষক তৈরিতে বেশ ব্যস্ত সময় পাড় করছেন গাইবান্ধার কারিগররা।

গাইবান্ধা শহরের টেনিস কমপ্লেক্সের সামনে লেপ-তোষক প্রস্তুতকারী বিভিন্ন দোকান সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, মালিক-শ্রমিক, ধুনকাররা এখন তুলাধোনায়, লেপ-তোষক তৈরির সেলাইয়ের কাজে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। লেপ-তোষকের দোকানগুলোতেও বাড়ছে ক্রেতার আনাগোনা। লেপ তৈরির অর্ডারও দিচ্ছেন অনেকে।

বিজ্ঞাপন

ধুনক কারিগর আলমগীর হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, দিন যতই গড়াচ্ছে শীতের প্রকোপ ততই বেশি বাড়ার আশংকায় উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ নতুন নতুন লেপ তৈরি করছে। বছরের অন্যান্য সময় বেচাকেনা কম হলেও শীত মৌসুমে বিক্রি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ টি লেপ তৈরির অর্ডার পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

শীত মৌসুমে লেপ-তোষকের বিক্রি কয়েক গুণ বেড়ে যায়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

লেপ-তোষক ব্যবসায়ী রহিম মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, এ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রচুর লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার পাচ্ছি। কাজ সামাল দিতে অতিরিক্ত কারিগর রেখে দিয়েছি। চেষ্টা করছি সাধ্যমতো সঠিক সময়ে গ্রাহকদের কাছে পণ্য ডেলিভারি দিতে। অর্ডার নেওয়ার পাশাপাশি অগ্রিম কিছু লেপ, বালিশ ও তোষক বানিয়ে রেখেছি। ক্রেতা সাধারণের কাছে এসব রেডিমেট হিসেবে বিক্রি করে থাকি।

তিনি জানান, মজুরি হিসেবে বালিশ প্রতি পিস ৮০ টাকা, লেপ ২৫০-৩০০ টাকা ও তোষক ৩০০-৩৫০ টাকা হারে নেওয়া হচ্ছে।

কারিগর সাজেদুল ইসলাম বলেন, কাজের চাপ বাড়ায় কারিগরদের চাহিদাও বেড়েছে। এখন প্রতিদিন ১ হাজার টাকা মজুরি পাচ্ছি। শীতের তীব্রতা বাড়লেও কাজের চাপ আরও বাড়বে তখন মজুরিও বাড়বে।

কাজের চাপ বাড়ায় কারিগরদের চাহিদাও বেড়েছে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

এদিকে শীতের আগামনী বার্তার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের গৃহবধূদের অনেকেই কাঁথা সেলাই শুরু করে দিয়েছেন।

গৃহবধূ মরিয়ম বেগম বলেন, শীত মৌসুমের শুরু থেকেই কাঁথা সেলাইয়ের অর্ডার আসতে থাকে। আর পুরোপুরি শীত পড়লেতো কথাই নেই। দম ফেলবার সময় থাকে না। নকশা ভেদে এক একটি কাঁথা সেলাই করতে মজুরি বাবদ নেয়া হয় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।